পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভারত থেকে রিভারস্টোন বোল্ডার আমদানিকৃত প্রতি মেট্রিক টনে হঠাৎ শুল্কায়ন বৃদ্ধি করায় গাড়ি থেকে পাথর খালাস করছেন না আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা।
এতে শতাধিক ভারতীয় ট্রাক চালক বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন কাস্টমস্ ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ের সামনে ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
জানা গেছে, গত ১ আগস্ট থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভারত থেকে আনা রিভারস্টোন বোল্ডারের প্রতি মেট্রিক টনে শুল্কায়ন ১ ডলার বৃদ্ধি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনায় স্থল শুল্ক স্টেশন (কাস্টমস্) কর্তৃপক্ষ।
এর আগে প্রতি মেট্রিক টনে ১২ মার্কিন ডলার করে শুল্কায়ন করা হত। গত ১ আগস্ট থেকে বৃদ্ধি করে ১৩ মার্কিন ডলার করা হয়েছে। এতে পাথর আমদানিতে অন্যান্য কর ও ব্যয় বৃদ্ধি এবং ক্ষতির শঙ্কায় পড়েছে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ড এফ এজেন্টরা।
এ কারণে গত সপ্তাহ হতে ভারত থেকে আনা পাথরবাহী ট্রাক চালকদের গাড়ি খালাস করছেন না তাঁরা (আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট)।
ভারত থেকে আনা পাথরবাহী ট্রাকচালকদের দাবি, কোনো কোনো পাথরের গাড়ি নিয়ে তিন দিন থেকে এক সপ্তাহ ধরে বন্দরের মাঠে/ইয়ার্ডে পড়ে আছে। রোদ, গরমে টিকে থাকা যাচ্ছেনা। থাকা, খাওয়ায় অবর্ননীয় সমস্যায় বাধ্য হয়ে চালকেরা বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টস্ কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার আব্দুল আলীম স্টেশনে না থাকায় কাস্টমের রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) রকিবুল হাসান বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনায় ভারত থেকে আনা রিভার স্টোন প্রতি মেট্রিক টনের শুল্কায়ন ১২ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৩ মার্কিন ডলার করা হয়েছে। ১ আগস্ট হতে এটি কার্যকর। আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদেরকে জানানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত নোটিশও গত ৩১ জুলাই তারিখে জারি করা হয়েছে।’
ভারতীয় ট্রাক চালক দেব কুমার সোম (৩৩) ও সুমন দাস (৪০) বলেন, ‘আমরা এখানে গত ৬ দিন হতে পরে আছি। বিদ্যুৎ ঠিক মতো থাকেনা। কয়েক দিন ধরে আছি রোধে থাকতে সমস্যা হচ্ছে। এখান থেকে গাড়ির ব্যাটারি, মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে কয়েকজন চালকের। টাকা শেষে হয়েছে থাকা ও খাওয়ার সমস্যা। সিঅ্যান্ডএফরা বলছে আজ না কাল বলে গাড়ি আনলোড করছে না।’
পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি রুহুল আমীন বাবুল বলেন, ‘হঠাৎ করে শুল্কায়ন বৃদ্ধি করা হলেও পাথরের দাম কোথাও বাড়েনি। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছে, এ কারণে ব্যবসায়ীরা আপাতত পাথর খালাস করছে না। এতে শত শত পাথরবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে।’