মহিউদ্দিন রানা, (নিজস্ব প্রতিবেদক) ময়মনসিংহ:
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তথ্য চেয়ে আবেদন করলে আবেদন পত্র না রেখে সাংবাদিকদের ঘুষ দিয়ে ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সোহেল রানা পাপ্পুর বিরুদ্ধে। গত (১৪ জুন) বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এ ঘটনাটি ঘটে।
আইন রয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে তথ্য প্রাপ্তির অধিকার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। আর জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত হলে সরকারীসহ সকল সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে, দুর্নীতি হ্রাস পাবে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। এরই লক্ষে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়, তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্য চেয়ে গৌরীপুর উপজেলার পিআইও এর কাছে আবেদন করেন সাংবাদিক খাইরুল ইসলাম আল আমিন ও উবায়দুল্লাহ রুমি। আবেদন পত্র জমা দিতে গেলে তিনি তা জমা না নিয়ে দালালের মাধ্যমে সাংবাদিকদের ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে সাংবাদিকরা আবেদন জমা না রাখার বিষয়টি ইউএনও ফৌজিয়া নাজনীনকে জানালে উনার কিছু করার নাই বলে জানান।
এ বিষয়ে সাংবাদিক খাইরুল ইসলাম আল আমিন জানান, আমি এর আগেও উনার কাছে তথ্য চেয়ে আবেদন করার পরে তথ্য না পেয়ে তথ্য কমিশনে অভিযোগ করি। অভিযোগের পর তিনি তথ্য দিয়েছেন। আর সেই তথ্য থেকে আমি বেশ কয়েকটি অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করি। গত বুধবার আমরা তথ্য চেয়ে আবেদন করতে গেলে তিনি আবেদন পত্র না রেখে আমাদের নিচে বসতে বলেন। আমরা নিচে নেমে আসলে পিআইও অফিসের দালাল জয়নালের মাধ্যমে আমাদেরকে ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করেন।
সাংবাদিক উবায়দুল্লাহ রুমি জানান, আমরা গিয়েছি তথ্য চেয়ে আবেদন করতে কিন্তু আবেদন পত্র না রেখে আমাদের ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। এতে বুঝা যায় তিনি দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। নয়তো উনি আমাদের ঘুষ দিতে চাইবেন কেন?
অভিযুক্ত পিআইও সোহেল রানা পাপ্পুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোবাইলে বক্তব্য দিলে রেকর্ড করা হয়, আপনি অফিসে আসেন।
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নাই।
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, কাজটি মোটেও ঠিক হয়নি। আমি কথা বলে দেখছি বিষয়টি।