ময়মনসিংহের ফুলপুর থানায় মাদকসহ আটক আসামিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ হামলার সাথে জড়িত নারী-পুরুষসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল (৩ জুন) সোমবার মধ্যেরাতে উপজেলার ছনধরা ইউনিয়নের খাড়ইপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ফুলপুর থানায় একাধিক মাদক মামলার আসামি মোখলেছুর রহমানকে (৫৫) গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ৩ পুলিশ কর্মকর্তাসহ আলী আকবর নামে পুলিশের এক সোর্সসহ ৪ জন আহত হওয়ার পর নারী-পুরুষসহ ২২ জন ও অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
ঘটনার সাথে জড়িত আছিয়া আক্তার নামক এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অছিয়া আক্তার ৫ নং চার্জশিট যুক্ত আসামি। আছিয়ার কোলে ছিল ২ বছরের শিশু আরিয়ান। আছিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার সময় বুকের দুধ খাওয়ানো শিশুকেও মায়ের কোলে করে নিয়ে আসা হয়। শিশু আরিয়ানের কান্না দেখে পুলিশ একান্ত রোমে মাকে দুধ খাওয়ার অনুমতি দেন ।
এ সময় মা অছিয়া নিজেও খাবার গ্রহন করেন। ফুলপুর থানায় গ্রেপ্তার হওয়া আছিয়ার ফুটপফুটে শিশু বাচ্চাকে দেখার জন্য থানা প্রাঙ্গনে কৌতুহল মানুষের ভীড় ছিল। অনেকেই এ শিশুকে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন এ শিশুটির কি অপরাধ।
জানা যায়, গতকাল সোমবার সকালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আছিয়া আক্তারকে ফুলপুর থানায় রাখা হয়। এ সময় অবুঝ এ শিশু মায়ের কোলে বারবার দুধের জন্য কাঁদছিলেন। এক পর্যায়ে তাঁর মাকে পুলিশ একটি কক্ষে নিয়ে নিরাপদে দুধের ব্যবস্থা করেন। শিশু আরিয়ান লোকজন দেখে ফ্যালফ্যাল করে মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে।
এক পর্যায়ে গতকাল বিকাল ৫ টায় শিশুটিকে মায়ের সাথে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ছোট্র শিশু আরিয়ানের কান্না থামানো যাচ্ছিলনা। সে কারও কোলে যেতে আগ্রহী না। অবশেষে মায়ের কোলেই তুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে মায়ের সাথে থাকবেন কারাগারে।
আছিয়ার আক্তারের পরিবার জানান, কারাগারে আছিয়ার হাজির হওয়ার পর তার জন্য জামিন চাওয়া হবে। শিশুটি নিয়ে চিন্তিত আছিয়ার পরিবার। জানা যায়, আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত আছিয়ার জামিন হয়নি।
ফুলপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার সাথে আছিয়া আক্তার জড়িত। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকেও গতকাল আদালতে পাঠানো হয়েছে।