মিন্টু মিয়া, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
বিয়ের ৫ বছর পর দুই সন্তান রেখে তানজিনা আক্তার(২৫) নামে এক নারীর স্বামীর এক বছর পূর্বে মৃত্যু হয়। সে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইশাকান্দি এলাকার আব্দুল কাদিরের কন্যা।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১১ টায় বাড়ি থেকে অভিমান করে আত্নহত্যার করতে বের হন। কিশোরগঞ্জ -ময়মনসিংহ মহাসড়কের নান্দাইল উপজেলার মুশুলির মেরেঙ্গা বাজারে ট্রাকের নিচে ঝাঁপ নেওয়ার প্রস্তুতি নেন।
এমন সময় নান্দাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহিদুল ইসলাম তানজিনার গতিবিধি লক্ষ্য করে জিজ্ঞাসাবাদ করে উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, তানজিনা আক্তারের দুই সন্তান রেখে স্বামী গত বছর মারা যান। স্বামী মৃত্যুর পরে গত এক বছর ধরে মোবাইল ফোনে জামালপুরের সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দেন। এবিষয় নিয়ে তানজিনার সাথে তার পরিবারের সাথে মান অভিমান শুরু হয়। অভিযান থেকে শুক্রবার সকালে গাড়ীর নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্নহত্যার সিন্ধান্ত নেন।
উপজেলার মুশুলির মেরেঙ্গা বাজারে ট্রাকের নিচে পড়ে আত্নহত্যার অপেক্ষা করার সময় উদ্ধার করে থানায় এনে শিশু ডেক্স এর মাধ্যমে আত্নহত্যার কুফল এর বিষয়ে বুঝ পরামর্শ প্রদান করেন।
নান্দাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহিদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবারে আমার মেরেঙ্গা বাজারে ডিউটি ছিল। এমন সময় এক নারীর চলাফেরা গতিবিধি লক্ষ্য করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। সে ট্রাকের নিচে আত্মহত্যার জন্য অপেক্ষা করছিল। উদ্ধার করে পরামর্শ দিলে আত্নহত্যা করবে না বলে জানান। সেই সাথে নান্দাইল মডেল থানার পুলিশ কে ধন্যবাদ জানান।