প্রবল বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
১৯ জুন বুধবার সকাল থেকে তিস্তার পানি প্রবল স্রোতে প্রবাহিত হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে তিস্তার দুই পাড়ের মানুষ। এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার অববাহিকার চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে। তিস্তার অববাহিকায় বসবাসকারী মানুষজন আসবাবপত্রসহ শুকনো এলাকায় উঠতে শুরু করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোর থেকে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে থাকে। পরে সকাল ৯টায় ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে এবং কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
দুপুর ১২টায় ব্যারাজ পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং কাউনিয়া পয়েন্ট ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তিস্তার পানি সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে এরপর কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
পানি বাড়ায় তিস্তা অববাহিকার নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন। বিশেষ করে সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন এবং আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নগুলো বসতবাড়ি ও ফসলি জমি বন্যার পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কতিপয় স্থানে বিপদসীমা অতিক্রম করে নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির দেখা দিতে পারে।
তাছাড়া রাত হলেই প্রবল বর্ষন যেকোন সময় বন্যা পরিস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।