ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় কৃষিমন্ত্রণালয়ের সৌজন্য মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা পরীক্ষাগারে মাটি পরীক্ষার উপর কৃষক-কৃষাণীদের নিয়ে ৩ দিনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। গত (২৪ নভেম্বর) থেকে ২৬ (নভেম্বর) মঙ্গলবার পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের হলরুমে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৬০ জন কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষন শেষে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট ৬০ জন কৃষক-কৃষাণীদের সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ করেন। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা। অতিথি হিসাবে ছিলেন উপজেলা কৃষিঅফিসার ফারুক আহাম্মেদ,কৃষিসম্প্রসারণ কর্মকর্তা কামরুল হাসান কামু। কৃষদের এ প্রশিক্ষণে সভাপতি ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, ময়মনসিংহের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম।
জানা যায়, ফসলের জীবনচক্রে বীজ থেকে বীজ উদ্ভিদের যেসব খাদ্যোপাদানের দরকার হয় সে বিষয়ের উপর গুরুত্বপূর্ন আলোচনা করা হয়।এ সময় কৃষিজমির উর্বরতা হারিয়ে ফেলার বিষয়টি তুলে ধরে জমির উর্বরতা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। আলোচনায় অতিরিক্ত রাসায়নিক স্যারের ব্যবহার কমাতে এবং প্রযৈাজনীয় জৈবসার ব্যবহারের পরামর্শ দেন বক্তারা। এ সময় প্রধান অতিথি সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন ,মাটি পরীক্ষার পর আমরা জানতে পারি বেশ কিছু স্যারের অপব্যবহার করা হচ্ছে । কৃষিজমির জন্য এটি ভালো না। তিনি বলেন,গবেষনায় দেখা যায়, বেশি মাত্রায় রাসায়নিক স্যারের ব্যবহারের ফলে মাটিতে বসবাসকারী উপকারী জীবণুর সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে মাটি মৃত হয়ে যায়। মাটির স্বাস্থ্যকে সঠিকভাবে জানতে হলে মাটি সংগ্রহের বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি জানতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে ৩-৪ বছর পর পর মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। ইউএনও সাদিয়া ইসলাম সীমা এ সময় কৃষক-কৃষানীদের হাতে দেওয়া সার সুপারিশ কার্ডের তথ্যগুলো সকল কৃষকদের মাঝে তুলে ধরার আহবান জানান।