বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়া সদর উপজেলার লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের দোবাড়ীয়া জামে মসজিদ ও মন্দিরের জায়গা জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা ও দোবাড়ীয়া গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার জুমআর নামাজের পর এলাকাবাসীর উদ্যোগে দোবাড়ীয়া মধ্যপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে পীরগাছা-মহাস্থান রাস্তায় এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন, দোবাড়ীয়া মধ্যপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ও মন্দিরের উন্নয়নের জন্য আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন দাগে আনুমানিক সাড়ে এগার বিঘা সম্পত্তি যাহা জমিদার কর্তৃক সর্ব সাধারণের পক্ষে পাঁচ জনের নামে কবিলিয়ত পাট্টা মূলে দলিল রেজিষ্ট্রি হয়। পরবর্তীতে পাঁচ জনের মধ্যে চার জন উক্ত জমি মসজিদ ও মন্দিরের উন্নয়নের জন্য হস্থান্তর করে। সে থেকে অদ্যবধি উক্ত সম্পত্তি মসজিদ ও মন্দির কমিটি কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছে। হাঠাৎ করে সাদিকা নাসিম বানু উক্ত সমস্ত সম্পত্তির ভুয়া ও প্রতারণা মূলক কাগজ পত্র তৈরী করে নিজের সম্পত্তি বলে দাবি করে।
ফলে গ্রামবাসির সাথে তার দ্বন্দের সূত্রপাত হয়। গ্রামবাসি নিরুপায় হয়ে উক্ত সম্পত্তি রক্ষার্থে বগুড়ার আদালতে উক্ত সম্পত্তির বিষয় নিস্পত্তির জন্য মামলা করেন।
কিন্তু উক্ত মামলার তোয়াক্কা না করে সাদিকা নাসিম বানু ও তার ভগ্নিপতি এএসপি আখিরুল ইসলাম ও তার বন্ধু এসপি আকতার হোসেন কর্তৃক ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রামের নারী পুরুষ ও যুবকদের নামে মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলা দিয়ে ভয়ভীতি ও হয়রানি করে আসছে।
যাহা ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ৮টি মামলা করা হয়।
বক্তাগণ আরো দাবি করেন, যেহেতু জমির বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে সেহেতু রায় পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
কিন্তু সাদিকা নাসিম বানু ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার ভগ্নিপতি এএসপি আখিরুল ইসলাম ও তার বন্ধু এসপি আকতার হোসেনের সহযোগিতায় গ্রামের নিরিহ সহজ সরল মানুষদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।
সাদিকা নাসিম বানুসহ দুই পুলিশ কর্মকতার করাল গ্রাস থেকে নিরীহ গ্রামবাসিকে বাঁচানোর জন্য জেলা পুলিশ সুপার, জেলা প্রসাশক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা উক্ত বিষয়টি সমাধানের জন্য হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে গ্রামবাসির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কামরুল ইসলাম, সাজু আহম্মেদ, আব্দুল বাছেদ, সুমন সরকার, মামলার বাদী সাদিকার মামা নজরুল ইসলাম, আলহাজ্ব আবেদ আলী, সাহাদত হোসেন, আবু তাহের ও শ্রী ব্রজেন চন্দ্র বল।