বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার নন্দীগ্রামে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে এক স্কুলছাত্রী (১২) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও অভিযুক্ত বখাটে তিনবন্ধুকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের ধুন্দার বাঘারগাড়ী পুকুরপাড়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতারের তথ্য পাওয়া যায়নি। বাবা হারা এতিম ওই কিশোরী স্থানীয় একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। মামলার আসামিরা হলো- ধুন্দার দারোগা পাড়ার আমজাদ আলীর ছেলে সৌরভ (১৯), বাবু হোসেনের ছেলে বাদল (২৬) ও বুদ্ধি আলীর ছেলে বায়োজিদ (১৯)।
মামলার বিবরণে ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন বিকেলে ঝড়-বৃষ্টি চলাকালে ধুন্দার স্কুলের পাশে একটি বাগানে ওই স্কুলছাত্রী আম কুড়াতে যায়। এসময় সেখানে অবস্থান করছিলো বখাটে তিনবন্ধু। তারা কিশোরীকে একা দেখতে পায়। ঝড় ও বৃষ্টির সময় আশপাশে লোকজন ছিলনা। আম কুড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে কিশোরীর পথরোধ করে আম চায় তিনবন্ধু। তাদেরকে আম দেওয়ার সময় কিশোরীর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক বাঘারগাড়ী পুকুরপাড়ে নিয়ে যায়।
সেখানে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় একজন এই ঘটনাটি দেখে আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়। স্থানীয়দের উপস্থিতি টের পেয়ে বখাটে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে পুকুরপাড় থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। ওই রাতেই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়েও কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নন্দীগ্রাম থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকেই আসামিদের গ্রেফতারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। গণধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।