নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল দুই পক্ষের মধ্যে। সেই বিরোধের জেরে ১১ বছরের শিশু সন্তানকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আজ সোমবার আহত শিশুর বাবা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গত শনিবার এ হামলার ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের ফানুর গ্রামে। আহত শিশুর নাম মুশফিকুর রহমান রাহিন (১১)। সে ওই এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তেরা হলেন একই ইউনিয়নের মো. আব্দুল হাইয়ের দুই ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম (৫৫) ও মো. রফিকুল ইসলাম (৪৫)। শফিকুলের ছেলে মো. হুমায়ূন (২৬) ও স্ত্রী মোছা. আছমা আক্তার (৪৭)। রফিকুলের স্ত্রী আকলিমা আক্তার (৩৭)।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের ফানুর এলাকার মজিবুর রহমানের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল একই এলাকার শফিকুলসহ তাঁর ভাইদের সঙ্গে।
গত শনিবার মজিবুরের শিশুসন্তান মুশফিকুর রহমান রাহিন স্থানীয় মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়।
পথিমধ্যে অভিযুক্তরা শিশুটির পথ আটকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়ায় শিশুটির একটি ডান হাতের একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন এবং বাম হাতের কবজির হাড় ও রগ কেটে যায়।
শিশুটির ডাক চিৎকারে তার বাবা মজিবুর রহমান এগিয়ে গেলে তাঁর পিঠে এবং মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলেটা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ওরা যদি আমার অবুঝ ছেলেটিকে না মেরে আমাকে মারত, তাহলে আমার কোনো দুঃখ ছিল না। আমি এর বিচার চাই।’
এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দ্বন্দ্ব থাকলে বাবার সঙ্গে আছে। অবুঝ শিশুটির কী দোষ ছিল? এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তাঁরা।
অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানতে অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে ঘরে তালাবন্ধ পাওয়া যায়। তাঁদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলেও নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’