লালমনিরহাটের বাউরা ইউনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের সিদ্দিকী সোহেলকে মিথ্যা অভিযোগে অব্যাহতি দেয়ার প্রতিবাদে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এ সময় তারা পুনরায় পদবী পূর্ণ বহাল করার দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) বিকেলে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের বাউরা বাজারের প্রধান -প্রধান সড়কে প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে মহাসড়কে পথসভা করে নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীরা বলেন, ৫ ই আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামীলীগের নেতারা ভাংচুর ও সহিংসতা চালায়। কিন্তু বাউরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের সিদ্দিকী সোহেল কর্মীদের নিয়ে পাহারা দিয়ে দোকানপাট রক্ষা করেন। অথচ মিথ্য অভিযোগে তাকে দল থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।
আমরা আশাবাদী বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু ও ব্যারিস্টার রাজীব প্রধান বিষয়টি তদন্ত করে তারপর আবারও পূর্ণবহাল করবেন।
যদি তাকে বিএনপি থেকে সরিয়ে দেয়, তাহলে গত ১৫ বছরের মতো বিএনপি আবারো এই ইউনিয়নে লাঞ্ছনার শিকার হবে। তাই প্রিয় নেতাদের আকুল আবেদন। তাকে পূর্ণ বহাল করে দলকে শক্তিশালী করুন।
এ বিষয়ে অব্যাহতি দেয়া বাউরা ইউনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের সিদ্দিকী সোহেল জানান, খবর শুনেই নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
পরে আমি তাদের সান্তনা দিয়েছি। আমার বিশ্বাস আমাদের সবার প্রিয় নেতা বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু ও ব্যারিস্টার রাজীব প্রধান বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।
দীর্ঘদিন থেকে আমি বিএনপির সঙ্গে রাজনীতি করে আসছি। অনেক লাঞ্ছনা বঞ্চনার শিকার হয়েছি। তবুও দলকে ভালোবেসে এখনো টিকে রয়েছি। তাই আমার বিশ্বাস আমি আবারও পূর্ণবহাল হব।
বিক্ষোভ মিছিলে বাউরা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন সাধারণ আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারি, যুগ্ন সাধারণ আব্দুস সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান বুলু, উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য খালিদ হোসেন, আওলাদ হোসেন, মৎসজীবি দলের ইউনিয়ন সভাপতি আবেদ আলী, ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি হবিবার রহমান মানিক, সহ-সভাপতি সিরাজুল হক প্রমূখ।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সহ- দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাজু স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দলীয় পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।