
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ড.এম এ কাইয়ুম বলেছেন, শিক্ষার মানোন্নয়ন ছাড়া জাতির প্রকৃত অগ্রগতি সম্ভব নয়। রাজনীতি মানে কেবল ক্ষমতা নয়, মানুষের পাশে থাকা এবং তাদের কল্যাণে কাজ করা। বিএনপি সবসময় জনগণের দল। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান দেশের প্রতিটি মানুষ যেন সমান সুযোগ পায়, এটাই আমাদের রাজনীতির লক্ষ্য।
শনিবার বিকেলে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার হোসেন নগর পাইলট স্কুল মাঠে মান্নান সাকিনা এডুকেশন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে স্কুল স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষার গুরুত্ব, জনগণের কল্যাণ ও রাজনীতির সামাজিক ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে ড. কাইয়ূম হোসেন নগর পাইলট হাই স্কুল প্রতিষ্ঠার স্মরণীয় অবদানও তুলে ধরে বলেন, “স্কুলটি শুধুমাত্র একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি স্বপ্নের প্রতীক। আমরা চাই প্রতিটি গ্রামে এমন উদ্যোগ গড়ে উঠুক যেখানে শিশুরা শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা পাবে এবং সুস্থ ও সচেতন নাগরিক হিসেবে বড় হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও মান্নান সাকিনা এডুকেশন ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মোঃ তৌহিদ হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন, নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মেনহাজুল হক, নরসিংদীর সিভিল সার্জন সৈয়দ আমিরুল হক শামীম, বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল করিম, বেলাব থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মাহবুবুর রহমান, হোসেন নগর পাইলট হাই স্কুলের সভাপতি শাহিদ হোসেন প্রমুখ।
উপস্থিত বক্তারা ড. কাইয়ূমের জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন এবং শিক্ষার উন্নয়ন ও মানবসেবায় তাঁর অবদানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান।
তাঁদের মতে, তাঁর নেতৃত্বে শিক্ষার মান ও স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসছে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ড. এম এ কাইয়ূমের এই উদ্যোগ শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবার প্রসারেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তাঁর বক্তব্য ও কার্যক্রম সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রেরণা হিসেবে কাজ করছে।
স্থানীয় জনগণ তাঁর মানবকল্যাণমূলক চিন্তাভাবনা ও শিক্ষার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে উৎসাহজনক হিসেবে দেখছে।
ড. এম এ কাইয়ূমের নেতৃত্বে শিক্ষার মান উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা প্রসার এবং জনগণের কল্যাণে রাজনীতির ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তাঁর কার্যক্রম ও দর্শন সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতিফলন এবং শিক্ষার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের পথকে আরও দৃঢ় করে।