ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার দক্ষিণ রসুলপুর গ্রামে ব্যক্তিমালিকাধীন ফসলি জমিতে মালিকের অনুমতি ছাড়া সরকারি বরাদ্দের রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযুক্তরা হলেন, নান্দাইল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুছ ছামাদ এবং দক্ষিণ রসুলপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে শাহজাহান দুলাল (৪৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ রসুলপুর মৌজায় প্রয়াত আফতাব উদ্দিন মাস্টারের নামে ৮১ শতক ফসলি জমি রয়েছে। তাঁর একমাত্র পুত্র ঢাকায় কর্মরত থাকার সুযোগে ইউপি সদস্য আব্দুছ ছামাদ সরকারি বরাদ্দের মাধ্যমে ভেকু দিয়ে জমির মালিককে না জানিয়ে তিন ফুট গভীর করে জমি খনন করেন এবং ছয় ফুট প্রস্থের রাস্তা তৈরি করেন, যা গিয়ে পড়ে শাহজাহান দুলালের বাড়ির সামনে।
জমির মালিক বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা ভুল স্বীকার করে সমাধানের আশ্বাস দেন। তবে দীর্ঘদিনেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তিনি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমিটির একাংশ গভীর করে কাটা এবং তার ওপর রাস্তা নির্মাণের দৃশ্য স্পষ্ট। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেখানে আগে একটি সরু আল ছিল—সেটিকে বিস্তৃত করে রাস্তা বানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. আবু সাঈদ বলেন, জমির মালিকের অনুমতি ছাড়া সরকারি প্রকল্পের কাজ কোনোভাবেই করা উচিত হয়নি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনৈতিক।
অভিযুক্ত শাহজাহান দুলালকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁর পরিবারের দাবি, আগে থেকেই সেখানে চলাচলের রাস্তা ছিল, যা বর্ষাকালে ডুবে যেত। তাই পাশের জমি থেকে মাটি এনে রাস্তা উঁচু করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য আব্দুছ ছামাদ বলেন, জনস্বার্থে সরকারি প্রকল্পে রাস্তা করা হয়েছিল। এখন যেহেতু অভিযোগ এসেছে, রাস্তা ছোট করে দেওয়া হবে।
নান্দাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আহসান উল্লাহ বলেন, দুই পক্ষকে ডেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।