কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদের আকবরনগরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে গোলাপ মিয়ার নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গতকাল সকালে ভৈরব দুর্জয় মোড় সৈয়দা আমেনা ভবনে ন্যায় বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন, ভুক্তভোগী পরিবারের তাজুল ইসলাম,হুমায়ুন ও ফয়সাল মিয়া।
ভুক্তভোগীরা বলেন, জমির সীমানা নিয়ে তাঁদের সাথে একই গ্রামের মৃত হাসেন আলীর পুত্র গোলাপ মিয়া, মৃত ইরাজ উদ্দিনের ছেলে শামীম,মোশাররফ, ছাত্তার,সাদেক ও হাসিম মিয়ার পুত্র সহিদ, মৃত ওয়াহাব মিয়ার পুত্র আজগর, মৃত ছায়েদ আলীর পুত্র আলেক চান,মৃত ছিদ্দিক মিয়ার পুত্র জিল্লু, মৃত অছর উদ্দিনের পুত্র উসমান,তাজুল ইসলামের পুত্র ইসমাইল মিয়াসহ প্রায় ৫৪ জনের বিরোধ রয়েছে।
এব্যাপারে ভুক্তোভোগী হুমায়ুন মিয়া বলেন, জমি কেনার পর বাড়ি ঘর নির্মাণ করে বসবাসের ১বছর পর গোলাপ মিয়া গংরা তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের হাত করে আমাদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে উচ্ছেদ করে দেয়।
পরে স্থানীয়ভাবে বিচার না পেয়ে আমি বাদী হয়ে গত ১৯ অক্টোবর ২০১৬ সালে ভৈরব সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।
উক্ত জায়গার উপর আদালত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই জমিতে জবরদখল বন্ধসহ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ১৪৪/১৪৫ ধারার স্থিতিতাবস্থা জারি করেন।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা কে অমান্য করে গোলাপ মিয়া গংরা ২০১৭ সালে উক্ত জায়গায় অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করে। উক্ত ঘটনায় তৎকালীন ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ কে অবগত করলে ওসি সাহেব ঘটনাস্থলে উপ-পরিদর্শক মতিউজ্জামানকে পাঠালে গোলাপ মিয়ার পক্ষের ৪-৫ জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
পরে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের হস্তক্ষেপে তাদের থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরে আমরা নিরুপায় হয়ে আজ ৯ বছর যাবত ক্রয়কৃত জায়গায় দখল নিতে পারছিনা। কিছুদিন আগে প্রতিপক্ষ গোলাপ গংরা আমাদের ক্রয়কৃত জমির ওপর পুনরায় ভবন নির্মাণ শুরু করেন।
গত ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ভৈরব থানার এসআই মতিউজ্জামান উভয় পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে আদালতের আদেশের বিষয়টি অবগত করেন।
কিন্তু গোলাপ মিয়া দুই দিন ধরে স্থানীয় কিছু লোকের সহায়তায় আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে তাঁর জমিতে বাড়ি নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও গোলাপ মিয়ার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হুমায়ুন মিয়া ভৈরব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহিন জানান, উক্ত বিষয়ে তৎকালীন উপ-পরিদর্শক মতিউজ্জামান উভয় পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে যাঁর যাঁর অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছেন।
বর্তমানে আদালতের আদেশ অমান্য করে কাজ করার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।