৩১শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি| বিকাল ৩:২৭| শরৎকাল|

ভৈরবে কুরবানির মাংসের জমজমাট হাট

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, জুন ৩০, ২০২৩,
  • 174 Time View

জ.ই পরশ, ভৈরব প্রতিনিধি:কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাসা-বাড়ি থেকে তোলা কোরবানির মাংসকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে মাংসের হাট। কোরবানির মাংস কেনাকে ঘিরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাক-ডাকে সরগরম হয়ে উঠেছে এই হাটটি। তবে এ বাজার থেকে মাংস কেনাবেচা করতে পেরে খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার যারা কোরবানি দিতে পারেনি কিংবা কারো কাছ থেকে হাত পেতে মাংস আনতে পারেনি, এমন লোকজন এই হাটের ক্রেতা।

জানা যায়, ভৈরবে মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী ভ্র্যাম্যমাণ  কোরবানির মাংসের হাট। কোরবানির মাংস কেনাকে ঘিরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাক-ডাকে সরগরম হয়ে উঠেছে এই হাটটি । ভৈরবে পাঁচ-ছয় বছর ধরে এ হাট বসে। হাটে শেষ বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাংস বিক্রি করা হয়।

বন্দর নগরী ভৈরব প্রাচীনকাল থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম শহর হওয়ায় এখানকার বেশিরভাগ মানুষ কোরবানির করেন। কোরবানির সেই গোশত নিতে আশপাশের অনেক জেলা ও উপজেলার নিম্নবিত্ত শ্রেণীর লোকজন ভৈরবে বিভিন্ন বাসা-বাড়ি থেকে মাংস সংগ্রহ করেন। আবার কেউ কেউ কোরবানির গরু জবাই করে কাজের বিনিময়ে মাংস পেয়ে থাকেন। এসব মাংস পরিবারের খাবারের জন্য কিছুটা রেখে বাকি মাংস হাটে এনে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে কম দামে বিক্রি করে সংসারের খরচ মেটান।

হাট এলাকার এক বাসিন্দা লোকমান বলেন, এসব মাংস পরিবারের খাবারের জন্য কিছুটা রেখে বাকি মাংস হাটে এনে কম দামে বিক্রি করে সংসারের খরচ মেটান অনেকেই।
কটিয়াদীর গছিহাটা থেকে আসা সবুজ বলেন, আমি গরীব অসহায় লোক। সাত কেজি মাংস পাইছি, রান্নার জন্য দুই কেজি রাইখা বাকিটা বেইচা দিচ্ছি।

এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন বেনু জানান, কোরবানির ঈদে নিম্নবিত্ত যারা কোরবানি দিতে পারেনি তারা এ হাট থেকে মাংস কিনে নেয় পরিবার-পরিজনের জন্য। তবে এক দিনের জন্য অস্থায়ী এ হাটটি আগামী বছর থেকে ট্যাক্সমুক্ত করে  বসার ব্যবস্থা করা হবে। এ হাটটি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্যই উপকারি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরি অন্যান্য নিউজ