৩১শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি| বিকাল ৪:৫৭| শরৎকাল|

ভৈরবে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১০ হাজার পশু

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, জুন ২৪, ২০২৩,
  • 192 Time View

জ.ই পরশ : ভৈরব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১৮শ খামারির প্রায় ১০ হাজার গবাদী পশু। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে, দেশীয় পদ্বতিতে ভিবিন্ন জাতের  গরু মোটা তাজা করনে খামারী ও চাষীরা ব্যস্ত সময় পার করছে।  খামারিদের দাবি চোরাই পথে  ভারতীয় বা বিদেশী গরু আনা বন্ধে সরকার যেন  দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। বিদেশী গরু আমদানি বা চোরাই পথে এলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে জানান খামারিরা।এদিকে কোরবানির পশু নিরাপদ করতে গরু মোটা তাজা করণে ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার বন্ধে  প্রাণী সম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে খামারে খামারে তদারকী বাড়ানো হয়েছে। প্রতিদিন খামারে যাচ্ছে কর্মকর্তারা, গঠন করা হয়েছে ৩ সদস্য বিশিষ্ট ৮টি তদারকি টিম। তাছাড়া খামারিরা যাতে অনলাইনে পশু বিক্রি করতে পারে সেজন্য প্রাণী সম্পদের পক্ষ থেকে অনলাইন কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাট নামে ফেসবুক আইডি খোলা হয়েছে।

কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ভৈরবে প্রান্তিক খামারিরা  খামারে খামারে গরু মোটাতাজাকরনে ব্যস্ত সময় পার করছে।এবার ভৈরবে ১৮শ খামারির প্রায় ১০ হাজার গরু,মহিষ,ছাগল,ভেড়া দেশীয় পদ্বতিতে ু মোটা তাজাকরণ করছে। কোরবানীর ঈদে লাভের আশায় এসব খামারিরা  কোন প্রকার রাসায়নিক বা ক্ষতিকর ট্যাবলেট, ডেক্সা মেথাথন ও স্টেরয়েডের মত ভয়ংকর ক্ষতিকারক ওষুধ  প্রয়োগ না করে দেশীয় পদ্বতিতে খড়, তাজা ঘাস ও ভূষিসহ পোষ্টিকর খাবার  খাইয়ে গরু মোটা তাজাকরন করছে।  সাধারণ গরুকে প্রাকৃতিক পন্থায় মোটা তাজা ও সুস্থ রাখতে এ ধরণের গরুর মাংস খেয়ে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে না। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে অতি মুনাফা লোভী অসাধু খামারীরা কৃত্রিম উপায়ে ক্ষতিকর ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করণ করলেও এবার প্রাণী সম্পদ অফিসের নজরদারি থাকায় তা করা হচ্ছেনা। পশু চিকিৎসকদের পরামর্শে কৃমি, ভিটামিন ও রোগের ওষুধ খাওয়ানো হলেও ক্ষতিকর ওষুধ কৃষকরা খাওয়াচ্ছেন না। এ ছাড়া এ বছর ভৈরবে ৩টি  কোরবানীর পশুর হাটে প্রাণী সম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে মেডিকেল টিম কাজ করবে। যাতে অসুস্থ বা রুগ্ন কোন পশু হাটে বিক্রি করতে না পারে।তাছাড়া মানুষ যেন নিরাপদ মাংস পেতে পারে সার্বক্ষণিক হাটে মেডিকেল টিম কাজ করবে। এবার ভৈরবসহ সারাদেশে কোরবানীর গরুর মাংস নিরাপদ থাকবে এটাই সবার প্রত্যাশা।

খামারী অতুল মিয়া জানান আমার খামারে ৪০ টি গরু দেশীয় পদ্বতিতে খড়, তাজা ঘাস ও ভূষিসহ পোষ্টিকর খাবার  খাইয়ে লালন পালন করছি। একেকটি গরু ২ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে কিছু গরু খামার থেকে বেচা হয়েছে। আশা করছি বাজার দর ভালো পাবো।

ভৈরব উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামান তরফদার বলেন কোরবানির পশুর মাংস নিরাপদ রাখতে এবং মানুষ যাতে সুস্থ থাকতে পারে। সেজন্য এ বছর ভৈরবে  ১৮শ  খামারি ব্যক্তি মালিকানা ও প্রান্তিক খামারিরা প্রায় ১০ হাজার গরু,মহিষ,ভৈড়া,ছাগলাু মোটা তাজাকরণে  দেশীয় পদ্বতিতে লালন পালন করছে। খামারিরা যাতে  কোন প্রকার  পাম ট্যাবলেট,  স্টেরয়েড ও হরমুন ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এ ছাড়া ফার্মেসী গুলোতে ও নজরদারি রয়েছে। যেন ক্ষতিকর ট্যাবলেট বা ইনজেকশন বিক্রি করতে না পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরি অন্যান্য নিউজ