জ.ই পরশ, ভৈরব প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়ার ৭ দিন পর মেঘনা নদী থেকে হেলিম মিয়া (৩২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-থানা পুলিশ।
শনিবার (১৫ জুলাই) বিকালে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার তুলাতুলি এলাকায় মেঘনা নদীতে মরদেহটি নদীতে ভাসতে দেখে এলাকাবাসী। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত সেলিম মিয়া উপজেলা কালিকা প্রসাদ ইউনিয়নের ঝগড়ার চর এলাকার আলকাছ মিয়ার ছেলে।
তবে নিহতের বড় ভাই সেলিম মিয়া জানান, গত রোববার দুপুরে কালিকা প্রসাদ আদর্শপাড়া গ্রামের সালাম মিয়া আমার ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজর পর থেকে আমরা অনেক খুঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গত শুক্রবার ভৈরব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
তিনি আরো জানান গত ৭-৮ মাস আগে কালিকাপ্রসাদ এলাকার আলমগীর ও জাহাঙ্গীর ২ সহোদর এবং শ্রীনগর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের সালাম মিয়ার মাধ্যমে সেলিম মিয়া লিবিয়ায় যায়। লিবিয়ায় নিয়ে তাকে জিম্মি করে মারধোর করে টাকার জন্য। তারপর বাড়ি বিক্রি করে আলমগীর ও জাহাঙ্গীরকে আরো ৩ লাখ টাকা দেয়।
এরপর প্রায় দেড় মাস আগে লিবিয়া থেকে বাড়ি ফিরে টাকা ফেরতের জন্য দালাল আলমগীর ও জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে এলাকায় সালিসি বৈঠক ডাকে। এতে ৮০ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে রায় অমান্য করে আলমগীর ও জাহাঙ্গীর নানা টালবাহানা করে সেলিম ও তার ভাই নিহত হেলিম মিয়াকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। সেলিম মিয়া অভিযোগ করে বলেন তারাই তার ভাইকে হত্যা করেছে ।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা সালিসি বলেন, বৈঠকে ৮০ হাজার টাকা ফেরতের সিদ্ধান্তের রায় অমান্য করেন দালাল আলমগীর এবং জাহাঙ্গীর।’
এ বিষয়ে ভৈরব নৌ-থানার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, ‘ধারণা করা হচ্ছে ৩-৪ দিন আগে মারা গেছে। তবে এটি হত্যাকান্ড কিনা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।’