জ.ই পরশ, ভৈরব প্রতিনিধি:
ভৈরবে পারিবারিক বিরোধে স্বপন মিয়া (২২) নামে গৃহকর্তার বিষপানে মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর মরদেহ হাসপাতালে রেখে স্ত্রী ও শ্বশুর পালিয়ে যাওয়ায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত স্বপন ভবানিপুর গ্রামের এমাদ মিয়ার পুত্র।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, স্বপন ৭/৮ বছর আগে পার্শ্ববর্তী মঞ্জুরনগর গ্রামের হাদি মিয়ার কন্যা সুইটি বেগমকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগে আছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে কলহ ও মতবিরোধ হয়।
মতবিরোধের জেরে স্বামী নিজ ঘরে বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্ত্রী ও শ্বশুড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
মৃত্যুর খবর শোনে স্ত্রী এবং শ্বশুর হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের মামা মানিক মিয়া বলেন, বিয়ের পর থেকে স্বপন শ্বশুর বাড়ি মঞ্জুরনগর থাকতেন। তবে বিষপানে শ্বশুর বাড়িতে মারা গেছে বলে তিনি শুনেছেন। কি কারনে কি ঘটনা তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
এ বিষযে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে।