নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর মনোহরদীতে অদালতের রায় অমান্য করে জমি দখল ও গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চালাকচর ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভূক্তভোগীরা জানান, মাছিমপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে সুরুজ মিয়ার বাড়ীর পাশে মাধুপুর সরাইকান্দী সাবেক ১৩৫০, ১৩৫১ হালে খতিয়ান নং ৫৪২ হালে ২২২৮,২২২৯,২২৩০ নং দাগে মোট ২৮ শতাংশ জমি রয়েছে। কিন্তু সুরুজ মিয়া গং দীর্ঘদিন ধরে ২৬ শতাংশ জমি জোরপূর্বক বেআইনীভাবে দখল করে আসছিল।
এসব জমি গ্রাম্য সালিশের সিদ্ধান্ত মতে ফিরিয়ে না দিলে ২০০৯ সালে মনোহরদী সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন শাহাবুদ্দিনের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম। ওই মামলায় ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারী বাদী নজরুল ইসলামের পক্ষে আদালত রায় দেন। কিন্তু প্রায় দুই বছর পরও ওই জমি দখল নিতে পারছেন না তিনি।
এসব ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সালিস ডাকলে উপস্থিত সালিসানরা উভয় পক্ষের সম্মতিতে মিমাংসা করে একটি অঙ্গীকারনামা রাখেন। কিন্তু সুরুজ মিয়া গং আদালতের রায় অমান্য করে এবং অঙ্গীকারনামা ভঙ্গ করে ওই জমি থেকে বিভিন্ন গাছ বিক্রি করে দেন।
গত মঙ্গলবার প্রকাশ্যে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি রেইন্ট্রি কড়ই গাছ জোরপূর্বক কেটে ফেলেন সুরুজ মিয়া। এসময় বাধা দিতে গেলে দখলকারীরা নজরুল ইসলামকে দেশীয় অস্র-শস্র নিয়ে বিভিন্ন হুমকী-ধমকি দেয়। এতে ভয়ে তিনি চলে আসেন।
উপস্থিত স্থানীয়রা জানান, কাগজপত্রে ওই জমি নজরুল ইসলাম গংদের থাকলেও স্রুুজ মিয়া জোরপূবর্ক দখল করে রেখেছেন। আদালতের রায় পেয়ে নজরুল ইসলাম জমিতে গেলে প্রকাশ্যে দখলকারীরা হুমকী দেয়। তারা সামাজিক দেন-দরবার না মেনে জোর করে দখল করে আছেন। বিষয়টি দ্রæত মিমাংসা হওয়া দরকার।
ভূক্তভোগী নজরুল ইসলাম জানান, দখলকারীরা খুবই উশৃংখল প্রকৃতির মানুষ। তারা কাউকে মানতে চায় না। আদালতের রায় নিয়ে জমিতে গেলে তার দেশীয় অস্র নিয়ে তেড়ে আসে। এখন আমি খুবই নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুরুজ মিয়ার স্ত্রী জহুরা বেগম বলেন, এই জমি আমাদের। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলে আছি। নজরুল ইসলাম অন্য জমির কাগজ দেখিয়ে আমাদের ভিটে থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।