২৬শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১০ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি| দুপুর ২:৩০| শীতকাল|
শিরোনাম:
পাটগ্রামে তিন সন্তানের জননীকে হত্যার ঘটনায় দ্বিতীয় স্বামী গ্রেপ্তার পাটগ্রামে তিন সন্তানের জননীকে ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার অভিযোগ নান্দাইলে আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল  পাটগ্রামে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা ফুলপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু  নান্দাইল আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ আ’লীগ, ছাত্রলীগ সহ গ্রেফতার -৩  আন্ধারীর ঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা গ্রেপ্তার নান্দাইলে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৯৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা গ্রেফতার ২ কাপাসিয়ায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দুশ্চিন্তায় মাকসুদা

মনোহরদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে ট্রলী না থাকায় রোগীদের ভোগান্তি

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৫, ২০২৩,
  • 217 Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর মনোহরদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা সহায়ক ট্রলী না থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জরুরি বিভাগে ট্রলী না পেয়ে স্বজনরা রোগীদের কোলে নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ ও বাহির হতে দেখা যায়। অথচ উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি সরকারী হাসপাতালেই পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রলি ও হুইল চেয়ার থাকার কথা। আর না থাকলেও জরুরী চাহিদা পাঠালে স্বল্প সময়ের মধ্যে এগুলো হাসপাতালে সরবরাহ হওয়ার কথা।
গত বুধবার রাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের গাছুয়ার কান্দা গ্রামের রাবেয়া বেগম নামে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক নারী সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে।তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। তার স্বজনরা তখন তাকে এ্যাম্বুল্যান্সে তোলার জন্য হাসপাতালের কর্মচারীদের কাছে ট্রলী চাইলে তারা বলেন, ট্রলী নেই। ট্রলীর প্রয়োজন হলে টিএইচ স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে অপারগ হয়ে স্বজনরা মুমূর্ষু রোগীকে জরুরী বিভাগ হতে কোলে করে এ্যাম্বুল্যান্সে উঠায়। হাসপাতালে প্রতিদিনই কোলে করে রোগীকে গাড়ীতে উঠানোর দৃশ্য চোখে পরে।
এ সময় হাসপাতালে থাকা অন্য এক রোগীর স্বজন মাসুদ মিয়া বলেন,এত বড় একটি হাসপাতালে ট্রলি ও হুইল চেয়ার নেই। এটা খুবই দুঃখজনক।এছাড়াও তিনি বলেন, হাসপাতালের কেবিনে যদি কোন রোগী মারা যায় তাহলে ট্রলি ছাড়া নিচে নামানো খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।
এবিষয়ে আরও কয়েক জনের সাথে কথা বললে তারা জানান, এই হাসপাতালে সবসময়ই চিকিৎসা সেবা নিতে আসলে বিড়ম্বনার স্বীকার হতে হয়। এর জন্য তারা হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উদাসীনতাকেই দায়ী করেন। অনেক সময় চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা দালালের খপ্পরেও পরেন। বিভিন্ন কৌশলে দালালরা তাদেরকে সরকারী হাসপাতালের সামনে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করে।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাসেদুল হাসান জানান,হাসপাতালে ট্রলী নেই ১টি হুইল চেয়ার রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী (কর্মকর্তা) মো.রেজাউল করিম বলেন,হাসপাতালে যে সমস্ত সরঞ্জামাদির স্বল্পতা রয়েছে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে সেগুলোর চাহিদা দেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরি অন্যান্য নিউজ