নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রতিবেশী দাদার ধর্ষণের শিকার কিশোরীর ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়েছে। ঘটনার পর ভুক্তভোগীর মায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত দাদা আব্দুর রহমানকে (৫৮) গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামের। আব্দুর রহমান ওই গ্রামের মৃত আছমত আলীর ছেলে। পেশায় তিনি স্থানীয় বাজারের ভাঙ্গারী মালের ব্যাবসায়ী।
গতকাল বুধবার ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় মামলা করেন। রাতেই বাড়ি থেকে থানা পুলিশ অভিযুক্ত আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার দেওনা এলাকার রাকিবুল হাসানের সঙ্গে ভুক্তভোগী কিশোরী (১৮) বিয়ে হয়।
এক মাস পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েটির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন।
পরে চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা করে জানা যায়, সে সাত মাসের গর্ভবতী।
অভিযোগে আরও বলা হয়, সাত মাস আগে এক দুপুরে, আনুমানিক দেড়টার দিকে, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আব্দুর রহমান জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।
পরে বিষয়টি গোপন রাখতে নানা ভয়ভীতিও দেখান তিনি। বিয়ের পর ঘটনাটি প্রকাশ পেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েটিকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়।
স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশের আয়োজন করা হলেও অভিযুক্ত রহমান মিয়া দায় স্বীকার করেননি এবং মেয়েটিকে বিয়ে করতে রাজি হননি।
এদিকে, গত ১৬ জুন ভুক্তভোগী নারী একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয় যে, গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হলে তা সমাধান করা যায়নি।
এ বিষয়ে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার বলেন, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তের ডিএনএ টেস্ট করা হবে। জন্ম নেয়া শিশুটির পিতৃ পরিচয় ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রমাণ মিলবে। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুর রহমান ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।