২৬শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১০ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি| দুপুর ১:১৭| শীতকাল|
শিরোনাম:
পাটগ্রামে তিন সন্তানের জননীকে হত্যার ঘটনায় দ্বিতীয় স্বামী গ্রেপ্তার পাটগ্রামে তিন সন্তানের জননীকে ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার অভিযোগ নান্দাইলে আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল  পাটগ্রামে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা ফুলপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু  নান্দাইল আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ আ’লীগ, ছাত্রলীগ সহ গ্রেফতার -৩  আন্ধারীর ঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা গ্রেপ্তার নান্দাইলে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৯৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা গ্রেফতার ২ কাপাসিয়ায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দুশ্চিন্তায় মাকসুদা

মনোহরদীতে ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, জুন ১৭, ২০২৩,
  • 307 Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর মনোহরদীতে ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মারধরে আহত জাহাঙ্গীর আলম (২৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধা ৭ টায় ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত জাহাঙ্গীর এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। জাহাঙ্গীরকে মারধরের মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ মে চালাকচর-চন্ডিতলা সড়কের পাশে বড় মির্জাপুর এবং উরুলিয়া গ্রামের আয়োজনে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা চলাকালীন দুই পক্ষের লোকজনদের মাঝে ঝগড়া বাঁধে।

গত রবিবার সন্ধায় উরুলিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর, শাহিন এবং তানজিল মোটরসাইকেল নিয়ে চালাকচর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। গার্লস স্কুল মোড়ে পৌঁছলে বড় মির্জাপুর গ্রামের মোজাম্মেল, ইবরাহিম, মোশাররফ হোসেন, জামাল উদ্দিন এবং আবু বকরসহ ১০-১২ জন মিলে তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে।

এসময় তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র, লাঠি এবং হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত জাহাঙ্গীরকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। শারীরিক অবস্থা অবনতি দেখে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে একটি প্রাইভেট হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) পাঁচদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল (শুক্রবার) সন্ধা ৭টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

গত ১৫ জুন অভিযুক্ত ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪ থেকে ৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মারধরের মামলা করেন জাহাঙ্গীরের ভাই সুমন মিয়া।

সুমন মিয়া বলেন, ‘আমার ভাইকে অন্যায়ভাবে মারধর করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। যাতে আর কেউ এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়।’

মনোহরদী থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘নিহত জাহাঙ্গীরের ভাই বাদী হয়ে যে মারধরের মামলা করেছিলেন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তা এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে। এ পর্যন্ত সন্দেহজনক দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজাহার নামীয় ব্যক্তিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরি অন্যান্য নিউজ