নরসিংদীর মনোহরদীতে রাসেল মিয়া (৩৫) নামে এক মুঠোফোন ব্যবসায়ীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাসেল উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের বীর আহমদপুর গ্রামের মৃত মাইনুদ্দিনের ছেলে। তিনি চালাকচর বাজারের মোবাইল ব্যবসায়ী ছিলেন।
রবিবার সকালে পার্শ্ববর্তী মফিজ মুহুরীর বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রাত থেকেই মফিজ মুহুরীর মেয়ে রিতা এবং তার স্বামী ট্রাক চালক মাসুম মিয়া পলাতক রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হতে পারে।
পুলিশ জানায়, মফিজ মুহুরীর বাড়ির পিছনে রাসেলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে থানা আনা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
রাসেলের স্ত্রী রোজিনা আক্তার জানান, গতকাল সন্ধার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। ১০টার দিকে মুঠোফোনে কথা হয়েছে। এরপর থেকে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
রাত ১২টা পেরিয়ে গেলেও তিনি বাড়িতে না আসায় কয়েক জায়গায় খোঁজ করা হয়। সকাল ৭টার দিকে প্রতিবেশী মফিজ মুহুরীর বাড়ির পিছনে বিবস্ত্র মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন পাশের বাড়ির লোকজন।
রোজিনা আক্তার বলেন, ‘আমার সন্দেহ হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে। তবে কী কারণে আমার স্বামীকে তারা হত্যা করল বুঝতে পারছি না। আমাদের সঙ্গে কারো শত্রুতা নেই।’
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জব্বার বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে হয়েছে। ময়নাতদন্ত করার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।’