নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর মনোহরদীতে আওয়ামীলীগ নেতার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় যুব মহিলালীগ নেত্রীর অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী মনোহরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতার নাম জিল্লুর রহমান তুহিন। তিনি উপজেলার একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। তুহিন মনোহরদী উপজেলা যুবলীগ ও কৃষকলীগের সাবেক সদস্য।
আর ভুক্তভোগী নারী নরসিংদী জেলা যুব মহিলালীগের সদস্য। তিনি মনোহরদী উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়নের রুদ্রদী গ্রামের বাসিন্দা।
লিখিত অভিযোগ এবং ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২২ সালে নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোহরদী, বেলাব ও শিবপুর উপজেলা থেকে সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচন করেন ওই নারী।
নির্বাচনী প্রচারের সুবাদে আওয়ামীলীগ নেতা জিল্লুর রহমান তুহিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে ওই নারীকে তার বাড়িতে দাওয়াত দেন তুহিন। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে তুহিন ছাড়া অন্য কাউকে দেখতে পাননি তিনি।
ফাঁকা বাড়িতে ওই নারীকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে তিনি রাজি না হয়ে দ্রুত ওই বাড়ি থেকে চলে আসেন। পরবর্তীতে তুহিন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীর ছবি এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
বিনা কারণে সামাজিকভাবে সম্মানহানি না করার অনুরোধ জানান ওই নারী। কিছুদিন আগে ওই নেত্রীর মুঠোফোনে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন তুহিন।
টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ভোক্তভোগী নারীর ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হয়। পরে তার কিছু ছবি এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ঘনিষ্টজনদের কাছে ছড়িয়ে দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জিল্লুর রহমান তুহিন বলেন, ‘ওই নারী একজন পেশাদার পতিতা। ষড়যন্ত্রমূলক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের তদন্ত করলেই আসল সত্য বের হয়ে আসবে।’
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘এ ধরণের কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’