নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাধবদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়নে “মাসুম বোর্ডমিল” নামে অবৈধ একটি শিল্পকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য ও কালো ধোঁয়ায় স্থানীয় পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সম্প্রতি শেখ শহীদুল্লাহ নামে এক ভুক্তভোগী ভগীরথপুর এলাকায় অবস্থিত কারখানাটি কর্তৃক পরিবেশ দুষণের হাত থেকে প্রতিকার চেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ নরসিংদী জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগীরথপুর প্রাইমারী স্কুলের উল্টোদিকে অবস্থিত ”মাসুম বোর্ড মিলস” নামের ফ্যাক্টরীটি সরকারী অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন যাবৎ মালিকপক্ষ পরিচালনা করে আসছেন। এতে ইটিপি প্লান চালু না থাকায় ফ্যাক্টরীর কেমিক্যাল ও বর্জ্য মিশ্রিত পানি সরাসরি পার্শ্ববর্তী ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলা হচ্ছে।
অন্যদিকে ফ্যাক্টরীর বয়লার চালাতে অবাধে গাছপালা পুড়িয়ে সাবাড় করছে। এতে করে একদিকে যেমন বিষাক্ত বর্জ্যে দুষিত হচ্ছে নদের পানি, অন্যদিকে কাঠ পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে স্থানীয় পরিবেশ। ফ্যক্টরীর কালো ধোঁয়ায় প্রায়ই অন্ধকার হয়ে যায় আশপাশের এলাকা, এছাড়াও প্রায়ই ছা্ই উড়ে গিয়ে পড়ে আশপাশের বাড়িঘরে।
এতে স্থানীয় লোকজন বিভিন্নভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হলেও ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাচ্ছেনা।
অভিযোগকারী শহিদুল্লাহ জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার একদিকে পাছ লাগানোতে সাধারণ মানুষকে উৎসাহ যোগাচ্ছে অন্যদিকে একটি মহল গাছপালা নিধনে মেতে উঠেছে। আর সেসব গাছপালা অবাধে পোড়ানো হচ্ছে ফ্যাক্টরীতে।
তিনি আরো জানান, উল্লেখিত মাসুম বোর্ডমিলে প্রতিদিন প্রায় ২০টন কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন প্রতিনিয়ত গাছপালা কমে পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়ছে তেমন কালো ধোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। এ অবস্থা চলতে থাকলে ফ্যাক্টরীটির আশপাশের লোকজনসহ স্কুলের বাচ্চাদের শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে বলেও জানান তিনি।
এব্যাপারে জানতে নরসিংদী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।