মহিউদ্দিন রানা, নিজস্ব প্রতিবেদক (ময়মনসিংহ):
আমি একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী, আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী। যাঁরা এতদিন বিএনপির টাকা খেয়ে আওয়ামী লীগকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন, আমি তাঁদের উদ্দেশ্যে বলছি- আপনাদের এখনো সুযোগ রয়েছে। আসুন আমরা সম্মিলিতভাবে কাজকরে ঈশ্বরগঞ্জ আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করি। আর যদি আপনারা আমাকে সহযোগিতা না করেন সমস্যা নেই। আমি ঈশ্বরগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করবো এবং ঈশ্বরগঞ্জের মানচিত্রে যেন উন্নয়নের চিত্র ফুটে ওঠে সেলক্ষ্যে কাজ করবো।
ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) মাহমুদ হাসান সুমন শপথগ্রহণ শেষে আজ (১৭ জানুয়ারি) বুধবার প্রথমবার নিজ এলাকায় ফিরেছেন।
এ উপলক্ষে পৌর এলাকার পাঠবাজারে এক পথসভার আয়োজন করা হলে সেখানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
এর আগে বেলা ১২ টায় নবনির্বাচিত সাংসদ মাহমুদ হাসান সুমন জাতীয় সংসদ থেকে সড়ক পথে ঈশ্বরগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
এরপর বেলা ৩ টায় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের মধুপুর বাজারে এসে পৌঁছান তিনি। এমপি এসে পৌঁছানো মাত্রই সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষমান থাকা হাজার হাজার নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ এমপিকে গিরে ধরেন। এরপর তাঁকে ফুলের তোড়া, ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং সহযোগী সংগঠনসহ সাধারণ মানুষজন।
এরপর মধুপুর বাজার থেকে সহস্রাধিক মোটরসাইকেল ও শতাধিক গাড়ি বহর নিয়ে রাজকীয় অভ্যর্থনায় এমপি পথসভাস্থলে পৌঁছায়।
পথসভায় বক্তব্য রাখেন, ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস ছাত্তার, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন, বজলুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের আরেক সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য আবু বকর সিদ্দিক দুলাল ভূঁইয়া, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদুল ইসলাম ভূঁইয়া সুমন, ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু হানিফা, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ ওয়ালিউল্লাহ রাসেল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) মাহমুদ হাসান সুমন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পরপর দুইবারের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। দ্বাদশ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে ঈশ্বরগঞ্জ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।
এদিকে ঈশ্বরগঞ্জ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্তে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ফখরুল ইমামকে মনোনিত করেন। ওই অবস্থায় লাঙ্গলের পক্ষে একাট্টা হয়ে কাজ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের বৃহৎ একটি অংশ। কিন্তু স্থানীয় জনগণ মাহমুদ হাসান সুমনকে (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেন।