নিজস্ব প্রতিবেদক :রংপুর মহানগরের ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে দলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। এ নিয়ে দলের নেতকর্মীদের মাঝে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে আহবায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের একক ক্ষমতা বলে যুগ্ম আহ্বায়ক সহ অন্যান্যদের নেতাকর্মীদের না জানিয়ে ৫টি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করেছেন।
জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে রংপুর সিটি
করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শোচনীয় ভাবে হেরে যাওয়ার পরে কেন্দ্র থেকে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত করে আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়কদের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে আহবায়ক কমিটি
সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে কমিটির পরিধি বড় করা হয়। আহবায়ক কমিটি গঠনের পরে দলের ঐক্য ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন মহানগরের আহবায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন ও যুগ্ম আহবায়ক রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আবুল কাসেম। সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে।
গত শনিবার নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের পাশাপাশি আহবায়ক কমিটি কারা হয় ১৩ নং ওয়ার্ডে। অভিযোগ উঠেছে কমিটি গঠনের বিষয়ে যুগ্ম আহবায়ককে জানান হয়নি। এনিয়ে নেতা-ধর্মীদের
মাঝে দ্বিধা-বিভক্তি দেয়া দিয়েছে। সাধারণ নেতাকর্মীদের অভিমত রংপুরে দলীয় ঐক্য ধরে রাখতে না পারলে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ফলাফল সিটি করপোরেশনের মত বিপর্যয় হতে পারে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ওয়ার্ড কমিটি গঠন করবে থানা কমিটি। কিন্তু থানা কমিটিকে না জানি মহানগরের আহ্বায়ক একক সিদ্ধান্তে তাঁর ইচ্ছে মতো কমিটি দিয়ে বেড়ছে।এটা তো দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হচ্ছে না।
মহানগর আওয়ামী লীগের আহবায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, যুগ্ম আহবায়ককে ওই ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দরা ডেকেছিলেন । তিনি আসেননি। তিনি বলেন, দলের গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সদস্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি যে সব ওয়ার্ডে কমিটি নেই সেগুলো করা হচ্ছে। এই বিষয়ে যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাসেম দ্বিমত পোষন করছেন।
এবিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাসেম বলেন, কমিটি গঠনের বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। অসাংগঠনিক ভাবে কমিটি করা হয়েছে।