২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি| বিকাল ৪:১৭| হেমন্তকাল|
শিরোনাম:
প্রকাশিত সংবাদ ও মানববন্ধের প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন ত্রিশালে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি প্রেসক্লাব পাইকগাছার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ নুরুল ইসলাম বুলবুলের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন পাইকগাছায় প্রতিবন্ধী কিশোরকে হুইলচেয়ার দিলেন বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম পাইকগাছায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে পোল্ট্রি ফার্ম মালিককে জরিমানা নান্দাইলে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি নান্দাইলে ভূমি অধিগ্রহণের জায়গায় আওয়ামীলীগ নেতার মার্কেট নির্মাণ বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাক হতে ওষুধ ও সিসা জব্দ

রানীশংকৈলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই পদে দুই শিক্ষককে নিয়োগের অভিযোগ

রাণীশংকৈলে (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
  • Update Time : বুধবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৫,
  • 152 Time View

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কলিগাঁও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একই পদে দুইজন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে গত ১৪ আগষ্ট ২০২৩ইং তারিখে সহকারী শিক্ষক মাহাবুব আলম ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ আদালতে মামলা করলে তার বিলের ফাইল পাটানোর আশ্বাস দিয়ে কৌশলে মামলাটি প্রত্যাহার করিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক জহরুল ইসলাম।

শিক্ষক মাহাবুব আলম জানান, তৎকালীন ৩ নভেম্বর ২০০২ ইং সালে সমাজ বিজ্ঞান পদে কলিগাঁও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিধি অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ পান মাহাবুব আলম। প্রায় তেইশ বছর ধরে বিল বেতন (এমপিও) না হওয়ায় স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে শিক্ষকতা করে আসছিলেন তিনি।

কিন্তু হঠাৎ ২০২৩ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হলে একই পদে মোটা অর্থের বিনিময়ে সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেখিয়ে বিলের ফাইল পাঠিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক জহরুল ইসলাম।

তেইশ বছর ধরে বিদ্যালয়টিতে স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে শিক্ষকতা করার পরেও বিল বেতনের তালিকায় নিজের নাম প্রধান শিক্ষক না পাঠিয়ে অন্যের নাম পাঠানোয় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন শিক্ষক মাহাবুব আলম।

সেই সাথে অভিযোগ রয়েছে, বিল বেতন পাঠানো শিক্ষক সিরাজুল ইসলামকে অবৈধভাবে ২০০২ সালের ৩ ডিসেম্বর প্রথমবার, ১ এপ্রিল ২০০৩ তারিখে দ্বিতীয়বার ও ২ নভেম্বর ২০০৪ইং তারিখে তৃতীয়বার নিয়োগ প্রদান করেছেন অভিযুক্ত এই প্রধান শিক্ষক।

সেই সাথে সিরাজুল ইসলামের নিয়োগের সময়ে গোপনে এক্সপার্ট প্রধান শিক্ষক ও ডিজি প্রতিনিধির সাক্ষর জাল করেছেন এই প্রধান শিক্ষক।

সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা গেছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই দুপুর ১২টায় ছুটি দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে প্রায় ১৫ জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন।

নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিধি অনুযায়ী শিক্ষক ৭ হতে ৮ জন থাকার কথা থাকলেও কিন্তু প্রধান শিক্ষক মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে অবৈধ ভাবে অতিরিক্ত ৩ শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। সেই সাথে গত বছর কয়েকটি নবসৃষ্ট পদ নিয়োগে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহরুল ইসলাম বলেন, মাহাবুব ভাইয়ের সাথে আপোষ করে সিরাজুলে নাম বেতনের ফাইল পাঠানো হয়েছে। মাহাবুব পাঁচ লাখ দিয়েছিলেন ওনাকে দের লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে ওনিও আমার স্কুল এ থাকবেন। অন্য শাখায়।

এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তবারক আলী জানান, বিষয়টি উদ্বোধন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। আমার কাছে অভিযোগ আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরি অন্যান্য নিউজ