কুমিল্লা প্রতিনিধি:
প্রশাসনকল মেনেজ করে লাকসামে চলছে অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলনের রমরমা ব্যবসা। ওই ড্রেজারেই এলাকার কয়েকটি পুকুর ভরাটেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, লাকসাম উপজেলার মুদাফরগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের ফুলহারা গ্রামের একটি পরিবারকে নিঃস্ব করে চলছে অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের মহাযজ্ঞ।
পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রভাবশালী কামরুল নামে এক ব্যাক্তি টাকার লোভে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছে তা চড়া দামে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে এলাকার কিছু ব্যক্তি কামরুলের ড্রেজার দিয়ে ৩/৪ টি পুকুরও ভরাট করে ফেলেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকায় রেলওয়ের জায়গাসহ বেশ কয়েকটি পুকুর ভরাট করা হয়েছে ওই ড্রেজার দিয়ে। এছাড়াও ওই এলাকায় একটি মাটির রাস্তায় কাজ চলছে। এতেও ওই ড্রেজার দিয়ে রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ চলছে। যা অবৈধ বলে এলাকার মানুষ মনে করছেন।
জানা গেছে ফুলহারা গ্রামের আবুল হোসেন টাকার লোভে পড়ে তার ঘরের পাশের ডোবা এবং জমি থেকে প্রায় দশ লাখ টাকার বালু বিক্রি করেছেন প্রভাবশালী কামরুলের কাছে। ওই সুবাদের ড্রেজার মালিক কামরুল হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
বাড়িঘর ভাঙার আশংকায় সুমন নামে এক ব্যাক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ড্রেজার বন্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করারও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ড্রেজার বন্ধের বিষয়ে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ করার পর থেকে ড্রেজার মালিক কামরুল অভিযোগকারী সুমনকে মারধরের হুমকি দিয়ে আসছে। ফলে বাড়ি ছেড়ে গত এক সাপ্তাহ ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অভিযোগকারী সুমন।
এ ব্যাপারে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা মতিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ড্রেজার মেশিনটি বন্ধের আশ্বাস দিলেও কার্যত বন্ধ না করে আরও ব্যাপক ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
তবে একটি সূত্র থেকে জানা গেছে ড্রেজার মালিক কামরুল প্রশাসনকে মেনেজ করেই ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী সুমন।