২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি| সন্ধ্যা ৭:৩৪| শীতকাল|
শিরোনাম:
বিকাশ এজেন্টের দোকানে হামলা চালিয়ে ১০ লাখ টাকা লুট, থানায় অভিযোগ দায়ের পাইকগাছায় বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ত্রিশালে পৌষালী পাঠোৎসবে হাজারো দর্শনার্থীর ভীড় গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতেদের বিচারের সম্মুখীন করতে হবে- আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল পাইকগাছায় তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টর উদ্বোধন  ফুলপুরে ২৫ বছর পর জামায়াতে ইসলামীর সম্মেলন নান্দাইল উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন গ্রেফতার  তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত ছাত্র আন্দোলন দমাতে ১০ কোটি টাকা অনুদান ও অস্ত্র যোগান দেয় ফজলে করিম ইউরোপ পাঠানোর আশ্বাসে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

লালমনিরহাটে ফুলকপির দাম ২-৩ টাকা, লোকসানে কৃষক

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি:
  • Update Time : শনিবার, জানুয়ারি ৪, ২০২৫,
  • 4 Time View

লালমনিরহাটে জমিতে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৩ টাকা দরে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৫ টাকা কেজি। কৃষকেরা জানান, এই দামে উৎপাদন খরচও উঠছে না।

এতে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে জেলার কৃষকদের মাঝে। অনেক কৃষক জমিতেই নষ্ট করে ফেলছেন তাদের ফসল। কেউবা খাওয়াচ্ছেন গরু- ছাগলকে।

উত্তরবঙ্গের সবজি ভাণ্ডার বলে পরিচিত লালমনিরহাট। মৌসুমের শুরুতে লালমনিরহাট সদর উপজেলা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী’ হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন ফুলকপি বোঝাই ৮- ১০টি ট্রাক ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যেতো। প্রতি পিস বিক্রি হতো ২০-২৫ টাকায়। সেখানে, সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে ফুলকপির দাম নেমেছে ২ থেকে ৩ টাকায়। স্থানীয় বাজারে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৫টাকা কেজি।

বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের কৃষক বাদশা মিয়া বলেন, এখন ফুলকপির দাম কমায় কৃষকদের বেশ ক্ষতি হচ্ছে। জমিতে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে আড়াই টাকা কেজি। এই দামে বিক্রি করে হাজিরার টাকাও হবে না। ব্যবসায়ীরাও তেমন আসেনা। এখন আমরা ফুলকপি গরু-ছাগলকে খাওয়াচ্ছি ও প্রতিবেশীকে দিচ্ছি।,

একই উপজেলার আরেক কৃষক ইমান আলী বলেন, আমরা সারা বছর সবজি চাষ করি। ফুলকপির হঠাৎ করে‌ দাম কমে গিয়েছে। আমাদের লস হবে। মূলধনে উঠবে না। সামনে আমাদের সংসার চালাতে কষ্ট হবে।

বাউরা বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা সেলিম হোসেন বলেন, আমরা কৃষকের কাছ থেকে ফুলকপি আড়াই থেকে ৩ টাকা কেজি কিনি। আর বিক্রি করি চার- পাঁচ টাকা। দাম বেশি হলে জিনিসের চাহিদা থাকে।
যেটার দাম কমে মানুষ সেটা খেতে চায় না। ফুলকপির দাম কম থাকার করার কারণে কৃষকের লোকসান হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরি অন্যান্য নিউজ