৩১শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি| বিকাল ৫:০০| শরৎকাল|

শ্বাসরুদ্ধকর ও রোমাঞ্চিত জয় বাংলাদেশের।

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, মে ১২, ২০২৩,
  • 232 Time View
  1. ক্রীড়া ডেস্ক ঃ

চেমসফোর্ডে বৃষ্টিবিঘ্নিত সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে শেষ ওভারে এসে ৩ উইকেট আর ৩ বল হাতে রেখে হারিয়েছে তামিম ইকবালের দল। তিন ম্যাচ সিরিজে নিয়েছে ১-০ লিড।

৪৫ ওভারের কার্টেল ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে পাহাড়সম ৩২০ রানের লক্ষ্য দাড় করায়।যা নিঃসন্দেহে কঠিন। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর লিটন দাস দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। তামিম তো আউট হয়ে যান ৭ করেই, লিটন ভালো শুরু করলেও থামেন ২১ বলে ২১ রানে। তবুও শেষ পর্যন্ত ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়ের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ৩ বল হাতে রেখেই এক শ্বাসরুদ্ধকর ও রোমাঞ্চিত জয় পায় বাংলাদেশ।

বড় রান তাড়া করতে গিয়ে
৪০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে চাপ সরানো এক জুটি সাকিব আল হাসান আর নাজমুল হোসেন শান্তর। ৪৭ বলে ৬১ রানের জুটিতে প্রতিপক্ষ যখন কোণঠাসা, ঠিক তখন সাকিব ভুল করে বসলেন।

 

কুর্তিস ক্যাম্ফারের বলে সোজা পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দিলেন সাকিব (২৭ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৬)। আইরিশরা নিয়ে নিলো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। সেখান থেকে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ১০২ বলে ১৩১ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েছেন শান্ত।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা শান্ত করেছেন ঝড় তুলেই। ৮৩ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। হৃদয়ও চোখ ধাঁধানো কিছু শট খেলে মাঠ মাতিয়ে রাখেন। শান্ত-হৃদয় মিলে দলকে এনে দেন ভালো একটা অবস্থানে।

তবে ৫৮ বলে ৬৮ রান করে থামতে হয়েছে হৃদয়কে। তরুণ এই ব্যাটার তার ইনিংসটিতে ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে হাঁকান ৩টি ছক্কা। যে ছক্কাগুলো রীতিমত চোখ জুড়িয়েছে ক্রিকেটপ্রেমী থেকে শুরু করে ধারাভাষ্যকারদের। একবার তো মাঠের বাইরেই চলে যায় বল।

এর আগে বাংলাদেশের বোলাররা শুরুতে বেশ কোণঠাসা করে রেখেছিলেন আইরিশ ব্যাটারদের। কিন্তু এক হ্যারি টেক্টরই যেন সব পরিকল্পনা উলটপালট করে দিলেন। একাই করলেন ১৪০। কার্টেল ওভারের ম্যাচে ৪৫ ওভারে আয়ারল্যান্ড দাঁড় করালো ৬ উইকেটে ৩১৯ রানের পাহাড়।

 

চেমসফোর্ডে টস জিতে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। শুরুতেই আইরিশরা পড়ে বড় চাপে। হাসান মাহমুদ আর এবাদত হোসেনকে সামলে প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ১৬ রান তুলতে পারে আয়ারল্যান্ড।

হাসান মাহমুদ করেন জোড়া শিকার। ১৬ রানেই ২ উইকেট হারায় আইরিশরা। হাসান ইনিংসের প্রথম ওভারে পল স্টারলিংকে (০) রানে ফেরায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ। প্রথমে অবশ্য আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নিয়ে জিতে বাংলাদেশ। দেখা যায় বল স্টারলিংয়ের ব্যাট হালকা ছুঁয়ে গেছে মুশফিকের গ্লাভসে।

এরপর আইরিশরা খোলসে ঢুকে পড়েছিল। কিন্তু সপ্তম ওভারে আবারও আঘাত হানেন হাসান। এবার ড্রাইভ খেলতে গিয়ে আউটসাইডেজ হয়ে মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়েন স্টিভেন দোহানি (১২)।

১৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় আইরিশরা। ৯৮ রানের জুটি গড়েন হ্যারি টেক্টর আর অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নি। টেক্টর ফিফটি তুলে নেন, বালবির্নিও ছিলেন হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায়।

অবশেষে প্রতিরোধ গড়া এই জুটিটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারকে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে এজ হয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি হন বালবির্নি (৪২)।

এক ওভার পর এসে শরিফুল ফেরান ঝড় তুলতে চাওয়া লরকান টাকারকে। মারমুখী খেলতে গিয়ে মিসটাইমিং হয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে লিটন দাসকে ক্যাচ দেন আইরিশ এই ব্যাটার (১১ বলে ১৬)।

এরপর তাইজুল ইসলামকে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন কুর্তিস ক্যাম্ফার (৮)। কিন্তু টেক্টরকে আটকানো যায়নি। মারকুটে ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ব্যাটার।

বিধ্বংসী এই সেঞ্চুরিয়ান অবশেষে থেমেছেন ৪২তম ওভারে গিয়ে। এবাদত হোসেন বোল্ড করেন তাকে। তবে তার আগে ১১৩ বলে ৭ চার আর ১০ ছক্কায় ১৪০ রানের চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস খেলেন টেক্টর।

শেষদিকে নেমে ঝড় তুলেছেন জর্জ ডকরেলও। ৪৭ বলে ৩ চার আর ৪ ছক্কায় ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরি অন্যান্য নিউজ