শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা দিবসে সংকল্প, শ্রমিক বান্ধব শিল্প’ এই প্রতিপাদ্যাকে সামনে রেখে জাতীয় চা দিবস ২০২৩ উৎযাপন করা হয়েছে ।
আজ রবিবার (৪ জুন) শ্রীমঙ্গল বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় চা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ। এফবিসিসিআই এর সভাপতি জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশীয় চা সংসদ এর চেয়ারম্যান শাহ মইনুদ্দিন হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, বাংলাদেশীয় চা সংসদের সভাপতি কামরান টি রহমান, টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শাহ মঈনুদ্দিন হাসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠী, চা-বাগান মালিক ও ব্যবস্থাপকসহ চা সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশে প্রথমবারের মত চালুকৃত ‘জাতীয় চা পুরস্কারপ্রাপ্তরা ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান ভাড়াউড়া চা বাগান, সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান মধুপুর চা বাগান, শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লি, শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট, (পঞ্চগড়) শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান জেরিন চা বাগান, বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি-কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট লি, দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি-গ্রিন ফিল্ড টি ইন্ডাস্ট্রিজ লি: এবং শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (চা শ্রমিক) উপলক্ষী ত্রিপুরা, নেপচুন চা বাগান।
উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেন, চা শিল্পে অবদানের জন্য জাতীয় চা দিবসে প্রথমবারের মতো ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় চা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয় চা। সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানে ১৮৫৪ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু করা হয়। ধীরে ধীরে এ অঞ্চলের অন্যতম সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে চা শিল্প বিকশিত হতে থাকে। উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে ব্রিটিশ শাসনাধীন উপমহাদেশের এ অঞ্চলে চা শিল্পের অগ্রগতি মূলত ব্রিটিশদের মাধ্যমেই হয়েছে।