২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১২ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি| রাত ৪:৫৯| শীতকাল|
শিরোনাম:
রাজশাহী আন্ত:জেলা ফুটবল টুনামেন্টে জার্সি বিতরণ গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষশূন্য গাজীপুরের দাক্ষিণখান গ্রাম রাণীশংকৈলে ডেভিল হান্ট অপারেশনে দুজন গ্রেপ্তার পাটগ্রামে তিন সন্তানের জননীকে হত্যার ঘটনায় দ্বিতীয় স্বামী গ্রেপ্তার পাটগ্রামে তিন সন্তানের জননীকে ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার অভিযোগ নান্দাইলে আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল  পাটগ্রামে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা ফুলপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু  নান্দাইল আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ আ’লীগ, ছাত্রলীগ সহ গ্রেফতার -৩  আন্ধারীর ঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা গ্রেপ্তার

শ্রেনীকক্ষে বিছানা পেতে শুয়ে থাকেন শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীদের করতে হয় বাতাস

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, জুলাই ১৫, ২০২৩,
  • 277 Time View

নীলফামারী প্রতিনিধি:

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের দিয়ে হাত পাখায় বাতাস করানোর অভিযোগ উঠেছে স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এছাড়াও ওই স্কুল শিক্ষিকার বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে শ্রেনীকক্ষে বিছানা পেতে শুয়ে থাকার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের গাড়াগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা. পেয়ারী বেগম দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল করিমের ছত্রছায়ায় এসব কর্মকাণ্ড করে আসছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোর কোনটিতে শিক্ষিকা পেয়ারী বেগম বিছানা পেতে ঘুমাচ্ছেন। কোনটিতে তিনি ক্লাসে বসে খাতায় লিখছেন আর হাত পাখা দিয়ে বাতাস করছে এক শিক্ষার্থী। এসময় পাশে দাঁড়িয়ে ছিল অন্য শিক্ষার্থীরা। কোনটিতে তিনি ঘুমাচ্ছেন পাশেই একটি শিশু স্মার্ট ফোনে গেম খেলছে, ওই ছবিতে শিক্ষিকার পাশে হাতপাখা, টিফিন বাটি, তার ভ্যানিটি ব্যাগ সবই রয়েছে।

অভিভাবক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা. পেয়ারী বেগম প্রায় প্রতিদিনই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে হাত পাখা ধরিয়ে দেন ও পালাক্রমে তাদের দিয়ে বাতাস করতে বলেন। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের ছত্রছায়ায় এই শিক্ষিকা শ্রেনী কক্ষে বিছানা পেতে ঘুমান। এ নিয়ে কথা বলায় ও ছবি তোলায় স্থানীয় একজনকে মামলার ভয় দেখান ওই শিক্ষিকা।

এ বিষয়ে জানতে সহকারী শিক্ষিকা মোছা. পেয়ারী বেগমের সাথে কথা বলতে চাইলে প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল করিম শিক্ষিকার সাথে কথা বলাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ও বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করেন।

গাড়াগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল করিম বলেন, আমরা ম্যানেজিং কমিটিসহ বসে আলোচনা সাপেক্ষে ওই শিক্ষিকাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।

বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল কাফি বলেন, তাকে সংশোধন হবার সুয়োগ করে দিতে হবে ওই শিক্ষিকা সকলের সামনে তার ভুল স্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান বলেন, আমি ছবিগুলো দেখেছি আমি তাকে শোকজ করব। জানতে চাইব কি কারনে তিনি বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে শিশুদের দিয়ে এসব কাজ করান।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করানোর কোন নিয়ম নেই। যদি কোন শিক্ষক এই ধরনের কাজ করে থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরি অন্যান্য নিউজ