নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
চার বছর পূর্বে ব্যবসায় বাণিজ্য করার জন্য দ্বিগুণ লাভে সুদি কারবারীদের কাছ থেকে চড়া সুদ হিসাবে টাকা নেন শামছুল হক (৪০)। ব্যবসায় লোকসান হলে ঠিকমত সুদের টাকা পরিশোধ না করতে পাড়ায় সুদি কারবারীদের হাতে দুই দিন ধরে আটক সেই যুবক।
আটক রেখে সেই যুবকের বসতবাড়ীর ২৫ শতাংশ জায়গা লিখে নেওয়ার পায়তারা চলছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার নান্দাইল ইউনিয়নের দাতারাটিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নান্দাইল ইউনিয়নের সাভার গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র শামছুল হক ব্যবসার জন্য পাশ্ববর্তী দাতারাটিয়া গ্রামের মন্নান ফকিরের পুত্র সুদি ব্যবসায়ী আউয়াল মিয়া কাছ থেকে ৫ লাখ ও দুলাল মিয়ার পুত্র আল-আমিনের কাছ থেকে ২লাখ টাকা চড়া সুদে ঋণ নেন।
টাকা নেওয়ার সময় ব্ল্যাংক ব্যাংক চেক ও জমির দলিল মর্গেজ জমা দেন। পরে কিছুদিন চড়া সুদের ঋণের টাকা লাভ দেন। এক পর্যায়ে সুদের ঘানি টানতে না পেরে বাড়ি থেকে চলে যান অন্যত্র। গত বৃহস্পতিবার খবর পেয়ে সুদি কারবারী আউয়াল মিয়া ও আল-আমিন পাশ্ববর্তী কেন্দুয়া উপজেলার মদন এলাকা থেকে শামছুল হক কে ধরে নিয়ে আসে। দুই দিন ধরে শামছুল হক তাদের কাছেই আটক রয়েছে।
এ নিয়ে গত শুক্রবার রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কদ্দুস মেম্বার দাতারাটিয়া বাজারে সালিস দরবার করেও কোন ফায়সালা দিতে পারেনি।
ভুক্তভোগী শামছুল হক জানান, ব্যবসার জন্য চড়া সুদে আউয়াল ও আল-আমিনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম। নিয়মিত সুদের টাকা দিতাম। এক সময় ব্যবসায়ে লোকসান হলে টাকা দিতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে চলে যাই। গত বৃহস্পতিবার আমাকে সুদের টাকার জন্য ধরে নিয়ে এসে তাদের বাড়িতে আটক রেখেছে। এহন টাকা না হয় বাড়ির ২৫ শতাংশ জমি লিখে দিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুদি কারবারী আউয়াল মিয়া বলেন, আমি শামসুল হকের কাছ জমি ক্রয় করেছিলাম সেই টাকার জন্য আমি তাকে ধরে নিয়ে এসেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কদ্দুস মুঠোফোনে বলেন, এ নিয়ে একটি সালিশ দরবার হয়েছে। শামছুল হকের বড় ভাই ঢাকা থেকে আসলে ফয়সালা করা যায় কিনা দেখি। তবে ঋণের টাকার আসল যেটা সেটাই নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।