হিলি প্রতিনিধি:
অনুমতি না থাকায় প্রায় দুই মাস ধরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে দেশীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। মূল্য পাচ্ছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। আমদানি বন্ধের মধ্যেই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এলো ২৫ টন ভারতীয় পেঁয়াজ।
পেঁয়াজগুলো বিক্রির জন্য নয়, খাদ্য তৈরির উপকরণ হিসেবে আমদানি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
মঙ্গলবার (০৯ মে) সন্ধ্যায় পেঁয়াজভর্তি ভারতীয় একটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। ওই দিন বিকেলে হিলি যমুনা ট্রেডিং করপোরেশনের মাধ্যমে মিডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ২৫ টন পেঁয়াজ আমদানি করে।
এদিকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পরও কিভাবে স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হলো বিষয়টি উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করছে।
হিলি সিঅ্যান্ডএফ যমুনা ট্রেডিংয়ের অনিক সরকার বলেন, ‘মিডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের খাদ্যজাত পণ্য রপ্তানিকারক একটি প্রতিষ্ঠান হিলি বন্দর দিয়ে আমাদের মাধ্যমে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছে। আমাদের জানা মতে এ পেঁয়াজগুলো খোলাবাজারে বিক্রয়ের সুযোগ নেই। খাদ্য তৈরির উপকরণ হিসেবে পেঁয়াজগুলো আমদানি করা হয়েছে।’
হিলি স্থলবন্দরের সহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, ‘স্থলবন্দর দিয়ে ১৫ মার্চ থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার (০৯ মে) মিডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজের নামের খাদ্যজাত পণ্য রপ্তানিকারক একটি প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ২৫ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। তাদের দাবি, পেঁয়াজগুলো প্রক্রিয়াজাত করে কাঁচামাল হিসেবে এগুলো ব্যবহার করবে।’
ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমরা তাদের কাছে কাগজপত্র দেখতে চেয়েছি। কাস্টমস আমাদের চিঠি প্রদান করার কথা জানিয়েছে, সেই চিঠি অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মিডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজের নামের খাদ্যজাত পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ২৫ টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করেছে। আমরা কিছু কাগজপত্র যাচাই করেছি। পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনুমতি নিয়েই ব্যাংক থেকে এলসি খুলেছে।’