নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ:
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা বৈরাটি গ্রামে জোরপূর্বক ভিটে-মাটি দখলের অভিযোগ ওঠছে প্রতিবেশীেদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
গত শুক্রবার মো. হাবিবুল্লাহ ঈশ্বরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মো.হাবিবুল্লাহর ছেলে আহাম্মদ কবীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আরও দুটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাতিয়ানতলা বৈরাটি গ্রামে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
লিখিত অভিযোগে আহাম্মদ কবীর বলেন, আমার পিতা মো. হাবিবুল্লাহ ছাতিয়ানতলা বৈরাটি মৌজায় পৈত্রিক ভিটের স্থায়ী বাসিন্দা। আমরা দীর্ঘদিন যাবত পরিবারসমেত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা এবং বর্তমানে চাকরির সুবাধে ঢাকায় বসবাস করি।
গ্রামের ভিটে-মাটিতে আমাদের অনুপস্থিতির সুযোগে প্রতিবেশী মৃত তফাজ্জল হোসেনের ছেলে আব্দুল হালিম, আব্দুল হালিমের ছেলে মো. আনাস ও মো. সালেহিন, মৃত আমান উল্লাহর ছেলে আব্দুল হক উরফে বাবুল, মো. এহসান আশিক উরফে সুমন একাট্টা হয়ে আমাদের বসত বাড়ির একাংশের ৩ শতাংশ দখল নিয়েছে।
অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, বসতভিটায় দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির সুযোগে অভিযুক্তরা অপর আরেক প্রতিবেশি আব্দুল গনি মাস্টারের বসতভিটেও দখল নিয়েছে। অভিযুক্ত মো. আনাস চাকরিসূত্রে বর্তমানে কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় এবং আব্দুল হক আকন্দ উরফে বাবুল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় শিলক ইউনিয়নের দক্ষিণ শিলক এম শাহ আলম চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলেও তাদের অপরাপর যোগসাজশে অন্যান্য অভিযুক্তরা প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।
একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও মানা হচ্ছে না কোন আইন। এখানেই শেষ নয় পৈত্রিক ভিটে থেকে উচ্ছেদ করতে আমাদের প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছে তারা। এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকে জমির কাগজপত্র (বতিয়ান মাঠপর্চা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দিলেও অভিযুক্তরা তা অমান্য করে জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে।
অনেকদিন ধরে আমরা ভুক্তভোধিরা চেষ্টা করতেছি দখলকৃত এই পৈত্রিক ভিটেজমি উদ্ধার করার। কিন্তু তারা কোনকিছুই আমলে নিচ্ছে না। এসব কারনে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দখলদার অভিযুক্তরা দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির বিধায় যে কোন সময় যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আনাস বলেন, ‘তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তারা যদি আইনগতভাবে আমাদের কাছে জায়গা পায় তাহলে আমরা তাদের জায়গা বুঝিয়ে দিব।’
ইউপি চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন আকন্দ বলেন, ‘উভয়পক্ষকে নিয়ে অনেকবার মীমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুপক্ষের লোকই চাকরি করে। এক পক্ষের ছুটি মিললে অপর পক্ষের ছুটি মিলেনা। উভয় পক্ষের লোক বসলে বিষয়টির মীমাংসা করা সম্ভব হবে।’
ঈশ্বরগঞ্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৌখিকভাবে একজন জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। লল