ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে কানিজ ফাতেমা (৪) নামের এক শিশুকে হত্যার পর বাদী পরিবারকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, ৮ সেপ্টেম্বর বিবাদীপক্ষের সাদিয়া আফরোজ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০–১২ জনকে আসামি করে ময়মনসিংহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হয়রানিমূলক মামলা করেছেন।
ফাতেমার বাবা কামাল হোসেন বলেন, মেয়েকে হত্যার ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে আমার চাচা ও ভাইদের নামে মামলা দিয়েছে কাওসার।
পরিবারের দাবি, ৫ সেপ্টেম্বর মরিচারচর পূর্বপাড়া গ্রামের কাওসার মিয়া তার নবনির্মিত বাড়ির অরক্ষিত সেপটিক ট্যাংকে ফাতেমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখান থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর কামাল হোসেন কাওসারকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। তারপর থেকে কাওসার পলাতক।
শিশুর মা শাহনাজ বেগম বলেন, আমার মেয়ের হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই, যেন আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়।
ফাতেমার দাদা আব্দুল বারীর অভিযোগ, নাতিকে হত্যার পর চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘটনা আড়াল করতে চাইছে কাওসার।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. ওবায়দুর রহমান জানান, ফাতেমার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।