ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ত্রিশাল পৌরসভার উপ-নির্বাচনে আইন অমান্য ও প্রভাববিস্তার করলে ব্যবস্থা নিতে কমিশন কঠোর অবস্থানে থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কোন কর্মকর্তা যদি অনিয়মের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তার দায় তাকেই নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে কমিশন জিরোটলারেন্স ভুমিকা পালন করবে।’
আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার প্রয়াত রাশেদুল ইসলাম কনফারেন্স রুমে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
মো: জাহাংগীর আলম বলেন, ‘ইভিএমে ভোট নিয়ে আপনাদের মনে কোন সংশয়ের কারন নাই যে, এই মেশিন দ্বারা ভোট দিতে কি-না কি হয়, কোন ভয় আছে কি-না, এ জাতীয় কোন সুযোগ নাই।’
তিনি আরও বলেন, একটি মেশিন যেকোন সময় অকেজো হতে পারে, এতে আপনাদের ঘাবড়ানোর কিছু নেই। আমরা কমিশন স্বীদ্ধান্ত নিয়েছি একটি কেন্দ্রে যতটি বুথ থাকবে তার প্রায় দেড় গুণ মেশিন আমরা দেবো। যেখানে ছয়টি বুথ থাকবে সেখানে নয়টি মেশিন দেবো। কোন কারনে একটি মেশিন যদি কাজ না করে তাহলে দ্বিতীয় মেশিনটি সেখানে সেট করা যাবে। আপনারা কিভাবে এই মেশিনটি ব্যবহার করবেন তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’
ত্রিশাল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত) শামীম আহমেদ,
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম,
আঞ্চলিক কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন সরকার, ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ত্রিশাল পৌরসভা নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার ৮২২। ত্রিশাল পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। মোট ১৪টি ভোট কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এবার ভোট হবে ইভিএম-এ।