৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| ১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি| সকাল ৮:০৯| হেমন্তকাল|
শিরোনাম:
পাইকগাছায় তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতিবঞ্চিত প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির দাবীতে মানববন্ধন পাইকগাছায় নারী স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে দুর্যোগ প্রতিরোধক সরঞ্জাম বিতরণ গফরগাঁওয়ে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ফাত্তাহ খানের জনসমাবেশ চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা কৃষকরাই দেশের মূল চালিকা শক্তি- জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসাইন শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়কে স্বাগত জানিয়ে পাইকগাছায় বিএনপির আনন্দ মিছিল জামিনে বের হয়ে বাদীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে গফরগাঁওয়ে বিএনপির আনন্দ মিছিল ত্রিশালে সোনার বাংলা ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

নীলফামারীতে হঠাৎ ঝড়ে লন্ডভন্ড শতাধিক ঘরবাড়ি

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, মে ১৬, ২০২৩,
  • 362 Time View

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ

সারাদেশে তীব্র তাপদাহের মধ্যে নীলফামারীর দুই উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

সোমবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ, টুপামারী ও জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিসহ ঝড় শুরু হয়। এতে বসতঘরসহ পাঁচ শতাধিক গাছপালা ভেঙে যায়।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা তীব্র ঝড়ে বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ খোলা আকাশের নিচে দিন পার করছেন। এছাড়া ধান, কলা, ভুট্টাক্ষেত, বাদাম, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন ও কলাসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়েছে। কোথাও কোথাও দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আশপাশের কয়েকটি গ্রাম।

সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের মাস্টারপাড়ার সাদিকুল ইসলাম বলেন, লাভের আশায় ধান চাষ না করে এবার কলা চাষ করেছিলাম। হঠাৎ ঝড়ে ৭ বিঘা জমির কলার গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। কলা বিক্রি করে ধান কিনতাম কিন্তু এখন আমার তো সব শ্যাষ হয়ে গেল।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জলঢাকার শিমুল বাড়ি বেরুবন্দ এলাকার রহিমা খাতুন বলেন, হঠাৎ করে ঝড়ো হাওয়ার কারণে কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই বাড়িঘরের চাল উড়ে যায়। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হওয়ায় আরও বিপদে পড়ে যাই। অন্ধকারে কোনো কিছুই উদ্ধার করা যায়নি।

একই এলাকার মর্জিনা বেগম বলেন, আমাদের দুইটা ঘর ভেঙ্গে গেছে। এখন থাকার মতো ঘর নাই। ঘরে যা ছিল সব ভিজে গেছে। রাত থেকে খোলা আকাশের নিচে থাকছি।

লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ইউনিয়নের আকাশকুঁড়ি এলাকাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে উপজেলা পরিষদে পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সরকারি সাহায্য দেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরি অন্যান্য নিউজ