পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি:
রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে স্বাগত শোভাযাত্রায় শ্রমিকদের দুই গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
আজ রোববার (৩০ জুলাই) সকাল ১১ টায় বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিকলীগ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। অভিযোগ উঠেছে শোভাযাত্রায় স্থলবন্দরের সর্দারদের একটি গ্রুপ বাধা দেওয়ায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় পাটগ্রাম থানা পুলিশ দুই গ্রুপের লোকজনদের সরিয়ে দিয়ে পরিবেশ শান্ত করে।
শ্রমিকরা জানায়, রোববার সকালে শত শত সাধারণ শ্রমিকরা ব্যানারসহ শোভাযাত্রা নিয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করার সময় সর্দারদের কয়েকজন ব্যক্তি শোভাযাত্রার ব্যাপারে উস্কানি ও বিরুপ মন্তব্য করে।
শোভাযাত্রাটি শ্রমিক সিরিয়াল কার্যালয়ে গিয়ে ব্যানার টানাতে গেলে সেখানে থাকা সর্দাররা বাধা দেয়। এতে সাধারণ শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়। পুলিশের সহায়তায় ব্যানার টানিয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিকলীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল হোসেন শ্রমিকদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে কাজে যেতে বলেন।
এ সময় সর্দারদের লোকজন ও স্বজনেরা সাধারণ শ্রমিকদের উপর চড়াও হলে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে শুরু থেকে থাকা থানা পুলিশের একটি দল কঠোর অবস্থান নিয়ে দুই গ্রæপের লোকজনদেরকে হটিয়ে দেন। পুলিশ না থাকলে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটত বলে সাধারণ শ্রমিকেরা জানান।
এ ব্যাপারে সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে আমাদের সাধারণ শ্রমিকরা স্বাগত মিছিল ও শোভাযাত্রা করতে শ্রমিক কার্যালয়ে ব্যানার লাগাতে গেলে সর্দাররা বাধা দেয়। এতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং হাতাহাতি হয়। সর্দারদের কারনে এ ঘটনা ঘটে।’
বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সর্দার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমরা কোনো বাধা, উস্কানি বা বিরুপ কথা বলিনি। আমাদেরকে তাঁরাই অসম্মানি করায় দুই গ্রুপের শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।’
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘থানা পুলিশ শুরু থেকে অবস্থান নেওয়ায় সংঘর্ষ মারাত্মক আকার ধারণ করেনি।’