নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীতে কোরবানির গরুর গোশতের একটি টুকরাতে আল্লাহু লেখা আছে এমন সংবাদ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) পবিত্র ঈদুল আযহার দিনে নরসিংদী শহরের শালিধা এলাকায় রায়পুরা উপজেলার চর আড়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরকারের বাসায় রান্না করার সময় আল্লাহু লেখা গোশতের টুকরো পাওয়া যায়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকার শত শত উৎসুক জনতা আল্লাহু লেখা গোশতের টুকরাটি একনজর দেখার জন্য চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরকারের বাড়িতে ভিড় জমায়।
জানা যায়, রায়পুরা উপজেলার চর আড়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরকারের গ্রামের বাড়ী বাঘাইকান্দি গ্রামে হলেও তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে শহরের শালিধা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে।
ঈদুল আযহায় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য উপজেলার চর আড়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরকার অনেক হাট ঘুরে পছন্দ মত গরু না মিলায় অবশেষে বুধবার নরসিংদী শিবপুর উপজেলার পুটিয়া পশুর হাটে যায়।
সেখান থেকে একই উপজেলার বংশিদিয়া এলাকার এক গৃহস্থ তার গাভীর প্রায় তিন বছর বয়সী লাল রং একটি ষাড় বাছুর পছন্দ হলে সেটি এক লাখ ৩১ হাজার টাকা দিয়ে কিনেন। আজ বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল আযহার দিন যথারীতি সেটি কোরবানি করার পর গোশত রান্না করতে যান চেয়ারম্যানের স্ত্রী মাসুদা জামান। রান্নার শেষ পর্যায়ে পাতিলের ভিতরে একটি গোশতের টুকরা লাফাতে দেখে চমকে উঠেন।
পরে তিনি সেটা চামচ দিয়ে পাতিল থেকে তুলে নিয়ে স্বামী হাসানুজ্জামানকে দেখাতে নিয়ে আসেন। তিনি গোশতের ওই টুকরাটি দেখে চমকে উঠেন। টুকরায় স্পষ্ট ভাবে আল্লাহু লেখা।
এদিকে চেয়ারম্যানের বাড়ীতে গোশতের টুকরায় আল্লাহু লেখা এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করে একনজর দেখার জন্য। বর্তমানে গোশতের টুকরাটি চেয়ারম্যানের বাড়ীর ফ্রিজে রাখা আছে।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরকার বলেন, তার স্ত্রী কোরবানির গোশত রান্না করার সময় সে পাতিলের মধ্যে আল্লাহু লেখা মাংস খন্ডটি দেখে তা তুলে নেয়। পরে সেটা আমাকে দেখায়। আমি বিষয়ে এলাকার কয়েকজন আলেম-ওলেমা সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এটা শুভ লক্ষন বলে জানায়।
কোরবানির গোশতে আল্লাহ লেখার বিষয়ে নরসিংদী পৌর শহরের বৌয়াপুর এতিমখানা মাদ্রাসা মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুর রহমান বলেন, ‘এটি একটি অলৌকিক ঘটনা। এ খাওয়া জায়েজ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই গোশত খাওয়াতে কোনো সমস্যা নেই। বরং বরকতের নিয়তে খুশি মনেই খাওয়া উচিত।’