মাধবদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি:
মাধবদীর পাঁচদোনায় আল্লাহর দান ফল ও কাঁচামালের আড়তে হামলা, মারপিট ও ভাংচুরের ঘটনায় মেহেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজহার অমিত প্রান্ত’র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে আড়ৎমালিক পক্ষ।
গতকাল সোমবার নরসিংদীর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ সিদ্দিকীর আদালতে হাজির হয়ে আড়ৎ মালিক রাসেল মাহমুদের বাবা হাবিবুররহমান বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এতে আরো ১১ জনকে আসামী করা হয়।
এরা হলেন মেহেদী হাসান (৩০), আশরাফ (২৮), রবিন মিয়া (৩০), সাজন (২৫), হুমায়ুন (২৮), রাজন মিয়া (৩০), সাদ্দাম (২৫), ছাদু মিয়া(২২), ফয়সাল (২৮), হুমায়ুন(৩০) ও মামুন (২৬)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ভগীরথপুর এলাকার মো. রাসেল মাহমুদ ও কামাল হোসেন নামে দুই ব্যবসায়ী একই এলাকার রতন ভুঁইয়া ও রিপন ভুঁইয়ার কাছ থেকে ৭বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে আল্লাহর দান ফল ও কাঁচামালের আড়ৎ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
জমিটি নিয়ে মালিক পক্ষ ও বিবাদী পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এর প্রেক্ষিতে মেহেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজহার অমিত প্রান্ত বিবাদীদের পক্ষ নিয়ে আড়ৎটি দখলের পায়তারা করেন। সম্প্রতি, ইউপি চেয়ারম্যান তার মুঠোফোনে আড়তের পার্টনার কামাল হোসেনকে কল করে আড়ৎটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে হুমকি প্রদান করেন, অন্যথায় হামলা, ভাংচুড়সহ হত্যার হুমকি প্রদান করেন বলে বাদীপক্ষ আরজিতে উল্লেখ করেন।
বাদীপক্ষ আড়ৎ সরাতে অস্বীকৃতি জানালে গত বুধবার ( ১৪ জুন) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে হামলা চালিয়ে আড়তের সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করা হয়। এসময় এতে বাধা দিতে গেলে বেদম মারপিট করে মালিক পক্ষের লোকজনকে গুরুতর আহত করা হয়। আহতরা হলেন নোবেল (২৬) পাভেল (৩০) হৃদয় (২২) ও ইয়াসিন (২৪)। আহতদেরকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
বাদীপক্ষের মো. রাসেল মিয়া জানান, ঘটনার সময় ৯৯৯ এ কল দেয়া হলে মাধবদী থানার পুলিশ ও পরে খবর পেয়ে নরসিংদীর উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালে আহতদের খোঁজ খবর নেন।
কিন্তু দু:খজনক ব্যাপার হলো, ঘটনার প্রধান আসামী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়া যাবেনা বলে মাধবদী থানার ওসি রকিবুজ্জামান সাফ জানিয়ে দেন।
একাধিকবার থানায় গিয়েও মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে ১৯ জুন তার বাবা হাবিবুর রহমান নরসিংদীর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ সিদ্দিকীর আমলী আদালতে হাজির হয়ে মামলা দায়ের করতে সক্ষম হন বলে জানান। সিআর মামলা নং ৫৯৯/২৩।
এব্যাপারে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।